ভূত ও অলৌকিকতার প্রতি কবিগুরু ছিলেন আসক্ত



Odd বাংলা ডেস্ক: জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে ভূতচর্চার বিরুদ্ধে কোনো কঠোরতা ছিলো না। কিশোর রবীন্দ্রনাথ তাই ভূতচর্চায় উৎসাহী ছিলেন। প্ল্যানচেটে বিশ্বাসী ছিলেন। জেনেছিলেন, প্ল্যানচেটের মাধ্যমে ভূতের সঙ্গে কথা বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ প্ল্যানচেটের নিয়ম মেনে তেনাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন, একাধিকবার। প্ল্যানচেট করে কথা বলেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্তের সঙ্গেও। প্ল্যানচেট কী? প্ল্যানচেট মৃত ব্যক্তির আত্মার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার খেলা। এর জন্যে লাগে একটি প্ল্যানচেট বোর্ড। টেবিলের ওপর বোর্ডটি রেখে চারদিকে চারজন গোল হয়ে বসতে হয়। বোর্ডের এক প্রান্তে জ্বলে একটি মোমবাতি। এবার যে আত্মাকে ডাকতে চান, তার নাম ধরে মনে মনে ডাকুন। চারজনের মধ্যে যাকে মিডিয়া বানাতে চান, আত্মাকে তার মধ্যে প্রবেশ করতে বলুন। ব্যস! রবীন্দ্রনাথ কেন প্ল্যানচেটে বিশ্বাসী ছিলেন? উত্তরটা পাওয়া যাবে সমকালীন সামাজিক মনস্তত্ব দেখলে। ১৮৮০ সালে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ভূততাত্ত্বিক সমিতি। নাম ইউনাইটেড এসোসিয়েশন অব স্পিরিচুয়ালিস্ট। প্রতিষ্ঠাতা শিশিরকুমার ঘোষ মারা গিয়েছিলেন সমিতি প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরের মধ্যেই। কিন্তু এই সামান্য সময়েই তিনি প্ল্যানচেট কালচার বাংলার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। ভূততাত্ত্বিক সমিতির সদস্যের কাজকর্মে গবেষণার কোনো ব্যাপার ছিলো না, ছিলো বিশুদ্ধ বিনোদন। সন্ধ্যাবেলায় তাস-দাবা-পাশার মতো প্ল্যানচেট একটি জনপ্রিয় গেম হয়ে উঠেছিলো তাদের হাত ধরে। যার প্রভাব বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশক পর্যন্ত ছিলো। তারপর সমাজে যখন বামপন্থী ধারণা প্রবল হয়ে উঠলো এবং ভগবান থেকে ভূত, যাবতীয় অপ্রাকৃতিক বস্তুর চিন্তা কুসংস্কার বলে গণ্য হতে থাকলো, তখন থেকে ভূতচর্চা, প্ল্যানচেট, সবই অস্পৃশ্য হয়ে উঠলো। রবীন্দ্রনাথ তার জীবনে অনেকবার প্ল্যানচেট করে ভূত নামিয়েছেন বলে বিভিন্ন রেওয়ায়ত পাওয়া যায়। কিশোরকালের ভূতচর্চার প্রভাবেই হয়তো ভূতপ্রেত-অশরীরী নিয়ে তার আগ্রহ ছিলো। লিখেছিলেন বেশ কিছু ভূতের গল্পও। 

যদিও তার ভূতের গল্পগুলো একটু আলাদা। তার কোনো গল্পে রয়েছে ভৌতিক আবহ, কোনোটাতে সরাসরি ভূতের আগমন ঘটেছে, আবার কোনোটাতে ভূত স্বয়ং উপস্থিত না থাকলেও পারিপার্শ্বিকতা ও গল্প বলার ঢংয়ে ভৌতিক আবহ তৈরি হয়েছে। তবে রবীন্দ্রনাথ চালাক লোক ছিলেন বলে তার ভূতগুলো গতানুগতিক ভয়ংকরদর্শন কিংবা কিম্ভূতকিমাকার নয়। তিনি ভয়মাখানো ভাষায় ভূতকে বর্ণনা করেননি। অনেকক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে অশরীরীকে উপস্থাপন করেছেন। এদিক দিয়ে তিনি একটু ফাঁক রেখেছেন, যেন গল্পগুলোকে মনস্তাত্ত্বিক গল্প হিসেবেও চালিয়ে দেওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথের কল্পনাশক্তি ছিলো প্রখর। তার অনেকগুলো ভূতের গল্প নিজের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতার ফলে সৃষ্টি হয়েছে। ‘কঙ্কাল’ গল্পটি এরকমই এক সৃষ্টি। রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার শোবারঘরে একটি কঙ্কাল ঝুলানো ছিলো। ছোট হলেও সেরকম ভয় তিনি কখনো পাননি। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে বড় হয়ে। একদিন ঠাকুরবাড়িতে মেহমান এলে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বিবাহিত রবীন্দ্রনাথকে ছেলেবেলার সেই কঙ্কালের ঘরে ঘুমোতে হয়। আর সেই রাতেই কবিগুরু নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তাঁর ভাষায়, ‘শুয়ে চেয়ে দেখলুম, সেজের আলোটা ক্রমে কাঁপতে কাঁপতে নিবে গেল। আমার মাথায় বোধ হয় তখন রক্ত বোঁ বোঁ করে ঘুরছিল, আমার মনে হতে লাগল কে যেন মশারির চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বলছে ‘আমার কঙ্কালটা কোথায় গেল? আমার কঙ্কালটা কোথায় গেল?’ ক্রমে মনে হতে লাগল সে দেয়াল হাতড়ে হাতড়ে বন্ বন্ করে ঘুরতে আরম্ভ করছে। এই আমার মাথায় গল্প এসে গেল আর-কি।’ লিখে ফেললেন ‘কঙ্কাল’ গল্পটি। ‘কঙ্কাল’ গল্পে আত্মমুগ্ধতায় বিহ্বল এক রূপবতী তরুণীর জীবনের আক্ষেপ বর্ণিত হয়েছে। গল্পটি উত্তম পুরুষে লেখা। গল্পকথকের বাড়িতে একসময় একটি নরকঙ্কাল ছিলো। তিনি সেই কঙ্কালের সাহায্যে অস্থিবিদ্যা শিখতেন। কালের আবতে কঙ্কালটি বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। আর স্বাভাবিকভাবে কথকও কঙ্কালের অস্তিত্বের কথা ধীরে ধীরে ভুলে যান। কিন্তু একদিন কোনো কারণে কথককে বাধ্য হয়ে একসময়ে কঙ্কালের আবাসস্থল সেই ঘরে রাতের বেলা ঘুমাতে হয়। অন্ধকার ঘরে শুয়ে কথক ঘরের ভেতর দ্বিতীয় কারো উপস্থিতি অনুভব করেন। ভীতসন্ত্রস্ত কথক যখন সেই আগন্তুকের উদ্দেশ্যে ‘কে’ বলে প্রশ্ন করেন। তখন উত্তর ভেসে আসে, ‘আমি। আমার সেই কঙ্কালটা কোথায় গেছে তাই খুঁজিতে আসিয়াছি’। 

গল্পের পরের অংশে দেখা যায় সেই আগন্তুক ভূত রমণী নিজের জীবিতকালের ব্যর্থ প্রেমের আক্ষেপ ভরা কাহিনী জানাচ্ছেন কথককে। অসামান্য সুন্দরী হওয়ায় তার নিজের রূপের অহংকার ছিলো, নিজেকে নিজেই ভালোবেসে ছিলেন তিনি। সমস্ত পুরুষজাতি তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে মাতাল হয়ে আছে, এই ধারণা যখন সেই সুন্দরীর মনে বদ্ধমূল হলো, তখনই তিনি প্রেমে পড়লেন এক ডাক্তারের। কিন্তু সেই ডাক্তারই যখন এই নারীর নীরব প্রেমের নাড়ীনক্ষত্র ধরতে না পেরে অন্যত্র বিয়ে করার আয়োজন করলেন, তখন ব্যর্থ প্রেমিকা নিজের হাতে প্রেমিককে বিষপানে খুন করেন এবং সাথে সাথে নিজেও আত্মহত্যা করেন। রবীন্দ্রনাথ একবার নিজেকে মৃত মানুষ মনে করেছিলেন। একসময় কবির অভ্যাস ছিলো ভোররাত্রে ঘুম থেকে উঠে অন্ধকার ছাদে ঘুরে বেড়ানো। একদিন ঘুম থেকে উঠে ছাদে যেতেই টের পেলেন, ভোর তো দূরের কথা, তখন গভীর রাত। রবীন্দ্রনাথ পুনরায় না ঘুমিয়ে সারা বাড়ি অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। মানে ওই রাতদুপুরে নিকষ অন্ধকারের মধ্যে গুরুদেব পুরো জোড়াসাঁকোর বাড়িতে প্রেতাত্মার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ‘হঠাৎ মনে হলো আমি যেন প্রেতাত্মা, এ বাড়ি হান্ট করে বেড়াচ্ছি। আমি যেন মোটেই আমি নয়, আমির রূপ ধরে বেড়াচ্ছি মাত্র।’ নিজের আমিত্ব নিয়ে এইরূপ সন্দেহের পরই রবীন্দ্রনাথের মাথায় ‘জীবিত ও মৃত’ গল্পের আইডিয়া এলো। তাঁর ভাষায়, ‘..সেই রাত্রে এই গল্পটা আমার মাথায় এল, যেন একজন কেউ দিশাহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেও মনে করছে অন্য সকলেও মনে করছে যে, সে সে নয়।’ গল্পটিতে দেখা যায়, কোনো অজানা কারণে জমিদার বাড়ির বিধবা বউ কাদম্বিনীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সাময়িক বন্ধ হয়ে গেলে তাকে মৃত ভেবে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। দাহ করানোর জন্যে। অন্ধকার শ্মশানে যখন সৎকারকার্য শুরুর জন্যে মৃতদেহ নিয়ে লোকেরা অপেক্ষা করছিলো, এমন সময় কাদম্বিনী পুনরায় জেগে ওঠে। শ্মশানের অন্ধকার ঘরে এরকম অবিশ্বাস্য ঘটনায় ভয় পেয়ে মৃতদেহে ফেলে শ্মশান ত্যাগ করে লোকজন চলে যায়। আর প্রচার করে কাদম্বিনীর সৎকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে অভাগী কাদম্বিনী রাতের অন্ধকারে শ্মশানঘাট ত্যাগ করে সারারাত হেঁটে তার এক বাল্যকালের সখীর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে আপাত নির্বিঘœ জীবনযাপন করলেও একসময় যখন বান্ধবীর স্বামী খোঁজ নিয়ে জানতে পারে কাদম্বিনী সমাজের চোখে অনেক আগেই মৃত। তখন তারা ধরে নেয় মৃত কাদম্বিনী দুনিয়ার মায়া এখনো ত্যাগ করতে না পেরে প্রেতাত্মা হয়ে তাদের সাথে বাস করছে। বাল্যকালের বান্ধবীর কাছেও যখন কাদম্বিনী ভূত হিসেবে পরিগণিত হলো, তখন তার আর কোথাও যাওয়ার স্থান রইলো না। কারণ সমাজ ততদিনে জেনে গেছে কাদম্বিনী মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং এই সমাজের যে অংশেই কাদম্বিনী যাক না কেন, তার কোথাও ঠাঁই হবে না। ‘মানুষ ভূতকে ভয় করে, ভূতও মানুষকে ভয় করে, মৃত্যুনদীর দুই পারে দুইজনের বাস’, আর এই দুইয়ের মাঝে কাদম্বিনীর অবস্থান। সুতরাং না পারছে সে নিজেকে প্রেতলোকে সমর্পণ করতে, না পারছে সমাজে নিজের জীবিত সত্তাকে প্রমাণ করতে। 

অবশেষে অনেক দ্বিধাগ্রস্ত কাদম্বিনী পুনরায় সবার চোখ এড়িয়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছলো। হয়তো ভেবেছিলো নিজের আত্মীয় পরিজন তাকে বিশ্বাস করবে, তার অস্তিত্বকে মেনে নেবে। কিন্তু বিধি বাম! মানুষ সমাজের প্রতিষ্ঠিত সত্যকেই সর্বাগ্রে মান্য করে। অনেক সময় সেই সত্যের ভেতরে সত্যকে খোঁজার প্রয়োজনীয়তা মোটেও বোধ করে না। অবশেষে নিজের শয়নঘরে গিয়েও যখন কাদম্বিনী নিতান্ত আশ্রয়টুকু পেলো না, তখন মৃত্যুর মতো সত্যকে অবলম্বন করেই তাকে নতুন একটা সত্য প্রতিষ্ঠা করতে হলো। কাদম্বিনী নিজেকে মেরে প্রমাণ করে ছাড়লো যে সে আসলে মরেনি। ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ গল্পটি কল্পলোক থেকে আমদানি হলেও গুরুদেবের জীবনের সাথে এর কিছুটা যোগসূত্র আছে। বিলেতে যাওয়ার আগে রবীন্দ্রনাথ কিছুকাল তার মেজদার সাথে আমেদাবাদে কাটিয়েছিলেন। সেখানে তাকে থাকতে হয়েছিল শাহিবাগের এক বাদশাহি আমলের রাজবাড়িতে। সেই রাজবাড়িতে থাকাকালীনই প্রথমবারের মতো তার মনের মধ্যে আভাস দিয়েছিলো ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ এর গল্প। এ গল্পে একটি প্রাচীন রাজপ্রাসাদের অশরীরী আচরণকে রবীন্দ্রনাথ উত্তম পুরুষের বয়ানে বর্ণনা করেছেন। গল্পটিতে ভারতবর্ষের বরীচ নামক স্থানে দ্বিতীয় শামামুদের তৈরি নদীর ধারের একটি শ্বেতপ্রাসাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যে ‘প্রাসাদের প্রত্যেক প্রস্তরখন্ড ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত হইয়া আছে, সজীব মানুষ পাইলে তাকে লালায়িত পিশাচীর মতো খাইয়া ফেলিতে চায়’। প্রাসাদের পুরনো পাপের ফলে জমা অভিশাপই পুরো প্রাসাদটিকে একটি জীবন্ত অতৃপ্ত প্রেতে পরিণত করেছে, আর এই অশরীরীর হাত থেকে বেঁচে ফেরার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা উত্তম পুরুষে বর্ণনা করেছেন গল্পকথক। ‘মণিহারা’ গল্পটি ফণিভূষণ সাহা নামক এক শিক্ষিত ধনী ও তার সুন্দরী স্ত্রী মণিমালিকাকে নিয়ে। ফণিভূষণ পৈতৃক সূত্রে ধনী, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত আধুনিক বাঙালি। গল্পের ভাষায় ‘নব্যবঙ্গ’। কিন্তু নিজের বিবাহিত জীবনে তিনি কখনো পুরুষতান্ত্রিকতা ফলাতে পারেননি। 

তাকে সবসময় বিনা তর্কে স্ত্রীর আবদার মেটাতে হয়েছিলো। ফণিভূষণ স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। ফলে কালে কালে স্ত্রী তার মাথায় উঠে বসল। অবস্থা এমন হলো যে, নিজের ব্যবসা রক্ষার জন্য যখন স্ত্রীর গয়না বন্ধক দেওয়া নিতান্ত প্রয়োজন হয়ে উঠলো, তখনো ফণিভূষণ জোর গলায় স্ত্রীর কাছে দাবি করতে পারলেন না। ফলে ব্যবসা বাঁচানোর জন্য হতভাগা স্বামীকে কলকাতায় গিয়ে টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করতে হলো। এদিকে নারী মাত্রই গয়না নিয়ে বিশেষ সতর্ক। এই তত্ত্বের অনুসারী স্ত্রী মণিমালিকার মনে হলো, তার গয়না বুঝি এবার গেলো। স্বামীর নজর থেকে নিজের জীবনের চেয়েও প্রিয় বহুমূল্য গয়নাগুলো বাঁচানোর জন্যে মণিমালিকা নিজের বাপের বাড়িতে রওনা দিলো। কিন্তু নদীপথে যাওয়ার সময় সেই যে গহনাসহ মণিমালিকা কোথায় হারিয়ে গেলো তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া গেলো না। স্ত্রী বিয়োগের দুঃখভারাক্রান্ত ফণিভূষণ একদিন ঘুমের মধ্যে অলংকার পরিহিত কঙ্কালের হাঁটার শব্দ শুনতে পেয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। ব্যাস, এরপরই নিয়মিত ঘরের আশপাশে তিনি এই বিদঘুটে শব্দ শুনতে পেলেন। কঙ্কালের হাড়ের খটখট শব্দের সাথে সোনার অলংকারের নিক্কণ; এই সংমিশ্রিত শিঞ্জিত শব্দমালা ফণিভূষণকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিল। ঘুমন্ত অবস্থায় একদিন ফণিভূষণ নিজেকে আবিষ্কার করলেন নদীর ঘাটে, যে নদীতে মণিমালিকা তার প্রাণপ্রিয় অলংকারসমেত ডুবে মরেছিলেন। ফণিভূষণও আর নদী থেকে কোনোদিন উঠে আসেননি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.