খাস কলকাতায় মেশিন না ভেঙে অভিনব কায়দায় ATM থেকে চুরি গেল ৪০ লক্ষ টাকা


Odd বাংলা ডেস্ক: অভিনব বললেও কম বলা হবে। শহর কলকাতায় অবাক করা এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে এটিএম না ভেঙে কার্যত নীরবেই কলকাতা শহরে চল্লিশ লক্ষ টাকার ডাকাতি হয়ে গেল। ঘটনায় হতবাক লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্তে নেমেছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনের মধ্যে কাশীপুরের এটিএম থেকে এখনও পর্যন্ত চুরি গিয়েছে ৭ লক্ষ টাকা, যাদবপুরের এটিএম থেকে খোয়া গিয়েছে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, নিউ মার্কেটের এটিএম থেকে খোয়া গিয়েছে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। অভিনবত্ব এই যে জালিয়াতি হয়েছে ধাপে ধাপে। নিউমার্কেট থানা সংলগ্ন এটিএম-এ লেনদেন হয়েছে প্রায় ৯০ বার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন জালিয়াতরা টাকা তুলতে একটি বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করছেন। এই ফরেন ডিভাইস দিয়ে এটিএম-এর বিভিন্ন সুইচকে ক্লোন করা হচ্ছে। নির্দেশটি যে জালিয়াতি তা ধরতে পারছে না এটিএম। বিশেষজ্ঞদের মতে ল্যান্ডকেবল ট্যাম্পার করা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। এক কথায় এটিএম-এর ব্রেন হ্যাক করছেন এই দুঁদে হ্যাকাররা। প্রাথমিক ভাবে টেরও পাচ্ছে না কেউ।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এমনটাও কি সম্ভব? তাহলে কীভাবে লুঠ রোখা যাবে! সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটিএম-এর ডেক্সটপে আমরা যে সুইচগুলি দেখে তাতেই টাকা তোলা বা লেনদেনের যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ চলে যায় ডেটাসেন্টারে। বৈধ নির্দেশের ভিত্তিতে টাকা আসে গ্রাহকের হাতে। এক্ষেত্রে এই কমিউনিকেশান চ্যানেলের মাঝে ঢুকে পড়ছেন হ্যাকাররা। তারা এটিএম-এর নির্দেশগুলিকে রেপ্লিকেট করছে। এটিএম-কে বোঝাচ্ছে যে একজন গ্রাহকই ইনস্ট্রাকশান দিচ্ছে যে টাকা দেওয়া প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.