এভারেস্ট যেন এক কবরখানা ও শৌচাগার

Odd বাংলা ডেস্ক: ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে। মানুষের পা যেখানেই পড়েছে, সেখানেই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে মানুষ। এই যেমন ধরুন মাউন্ট এভারেস্ট। ভূপৃষ্ঠ থেকে অতটা উঁচুতে অবস্থান করেও সেখানেও ক্রমশ দূষণ ছড়াচ্ছে মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে প্রতিবছর পর্বতারোহীরা কয়েকশো কেজি অবর্জনা ও মল-মূত্র ত্যাগ করে আসে এভারেস্টে। কিন্তু সেই আবর্জনা ডিকম্পোজ হয় না। কারণ সেখানে যে তাপমাত্রা, সেই তাপমাত্রাতে কোনও আদ্যপ্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না।  উষ্ণায়নের প্রভাবে গলছে হিমালয়ের বরফ, গলছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের বিভিন্ন হিমবাহ-ও। আর সেই বরফ গলতেই বেরিয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকা একের পর এক পর্বতারোহীর মৃতদেহ। গত একশো বছর ধরে হিমালয়ের তুষারে সমাধিস্থ পর্বতারোহীদের মৃতদেহ বেরিয়ে আসায় সমস্যায় পড়েছেন নেপালের পর্বতারোহী সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। মৃতদেহ বেরিয়ে এলে তা নামিয়ে নিয়ে আসা উচিত কিনা, তা নিয়েও শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।


১৯২২ সাল থেকে ধরলে এখনও পর্যন্ত প্রায় চার হাজার আটশো পর্বতারোহী জয় করেছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। কিন্তু তাঁদের অনেকেই শৃঙ্গ জয় করার পর আর নিরাপদে ফিরে আসতে পারেননি । ফেরার পথেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন এভারেস্টের বুকেই। অনেকেই আবার শৃঙ্গ জয় করতে যাওয়ার পথেই প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে প্রায় তিনশো জন পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। আর তাঁদের দুই তৃতীয়াংশই সমাধিস্থ আছেন এভারেস্টেই। বরফের তলায় চাপা পড়ে যাওয়ার তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়নি এত দিন।


কিন্তু উষ্ণায়ণ বদলে দিয়েছে এত দিনের এই চিত্র। গত কয়েক বছর ধরে সারা পৃথিবীর সঙ্গে বাড়ছে হিমালয়ের তাপমাত্রাও। আরও বেশি করে গলছে এভারেস্টের বিভিন্ন হিমবাহ। তার ফলেই এত দিন ধরে বরফে চাপা পড়ে থাকা পর্বতারোহীদের মৃতদেহ বেরিয়ে আসছে অনেক বেশি সংখ্যায়।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.