শ্রাদ্ধে খেতে হাজির ১৫০ জন অথচ সৎকারে আসেনি কেউই

Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত হয়ে চারদিনের ব্যবধানে বাবা ও মা দুজনকেই হারিয়ে অসহায় তরুণী। করোনায় মৃত্যু হওয়ায় সৎকারের জন্য এগিয়ে আসেনি কেউ।

মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য ঘুরলেও কেউই সাহায্য করেনি। অথচ শ্রাদ্ধের দিন দেখা গেল উল্টো চিত্র। আর তাই দেখে ধাক্কা খেয়েছে  বিহার রাজ্যের এক তরুণী। শ্রাদ্ধে খেতে হাজির হয়েছেন ১৫০ জন।

বিহারের অররিয়া জেলার বিষ্ণুপুরা গ্রামের বাসিন্দা সোনি নামের ওই তরুণী। বাড়িতে তার ১৪ বছরের ভাই আর ১২ বছরের বোন রয়েছে। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের বাবা মা দুজনেই। বাবা-মায়ের মৃতদেহ সৎকারের জন্য লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হয়েছিল এই অনাথ শিশুদের। সংক্রমণের ভয়ে কেউ সাহায্য করেননি। নিরুপায় হয়ে নিজেদের বাড়ির উঠানেই মায়ের মৃতদেহ কবর দিতে হয়েছে তিন ভাই বোনকে।

তবে শ্রাদ্ধের দিন তিন ভাই-বোনই অবাক হয়েছে। কারণ দরকারের সময় যে চেনা মুখ গুলো ফিরেও তাকায়নি, বিনাপয়সায় খাবার খেতে তারা সবাই হাজির। ১৫০ জন আত্মীয়স্বজন আর প্রতিবেশী উপস্থিত হয়েছিলেন শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে।.

জানা গেছে, সোনির বাবা স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান চালাতেন। গ্রামের লোকজন তাকে ডাক্তার সাহেব ডাকতেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেসময় তার চিকিৎসার খরচ জোগানোর জন্য কারো থেকে এক কানাকড়ি সাহায্যও আসেনি। বাধ্য হয়ে পরিবারটিকে পানির দরে নিজেদের গরু ছাগলও বিক্রি করে দিতে হয়েছে।

এদিকে বাবাকে সুস্থ করার চেষ্টায় নিয়োজিত মাও সংক্রমিত হন করোনায়। ঋণে জর্জরিত পরিবার, আর কোনো চিকিৎসা চালানোর সামর্থ্য তাদের ছিল না। চার দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় মায়েরও। বাড়ির উঠনে কবর দেয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা খুঁজে পায়নি তিন ভাইবোন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.