শিশুদের কি ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন? থার্ড ওয়েভ থেকে বাঁচার কি সেটাই উপায়?

Odd বাংলা ডেস্ক: যখন থেকে কোভিড সংক্রমণ বিশ্ব জুড়ে তৈরি হয়েছে, তখন থেকে এই ধারনা তৈরি হয়েছে যে শিশুদের মধ্যে এর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর সত্যি বলতে এখনও পর্যন্ত সেই ধরনেরই ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে শিশুদের মধ্যেও সংক্রণ চোখে পড়ছে। আর বলা হচ্ছে থার্ড ওয়েভে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে শিশুরা। কারণ করোনা যে শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধবে না সেই ধরনের কোনও প্রমাণও দেওয়া যায় না। 

তাই অবিলম্বে ভ্যাকসিনেসন প্রয়োজন, বলছেন ফর্টিস হাসপাতালের ডাক্তার জেশাল শেঠ। ডাঃ শেঠ বলছেন করোনার প্রথম ওয়েভে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা। দ্বিতীয় ওয়েভে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ৬০ বছরের নিচের বয়সী মানুষ। সেই হিসাবে ভাইরোলজির ট্রেন্ড বলে এবার হাই রিস্কে আছে শিশুরা। তবে শুধু কোভিড টিকা দিলেই হবে না। তাদের হিসেব অনুযায়ী কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা, দুটো রোগেরই ভ্যাকসিন শিশুদের দিতে হবে। 

Indian Academy of Pediatrics (IAP) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আমেরিকার মিশিগানে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে শিশুরা ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন পেয়েছে, তারা অনেক বেশি সুরক্ষিত কোভিড হতে। মানে ইনফ্লুয়েন্ঞ্জার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি  করোনাকে দূর করেছে অনেকাংশে। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, prevention of Influenza infection in children by vaccination will lead to decreased need for COVID19 infection testing, decrease healthcare burden, and will not overburden healthcare resources. Maharashtra’s Pediatric Taskforce therefore recommended, that immunization of all children against Influenza will play a pivotal role in the fight against COVID19 in the possible third wave.

তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন কোভিডের ভ্যাকসিন থেকে অনেকাংশে আলাদা। তাই দুটি টিকার মাঝখানে অন্তত ৪ সপ্তাহের গ্যাপ থাকতে হবে। যাতে উভয় টিকার অ্যান্টিবডিই শিশুর শরীরে তৈরি হতে পারে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.