বেশি ঘুম কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 


ODD বাংলা ডেস্ক: শরীর ভালো রাখতে যে ঘুমের প্রয়োজন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও ঘুমের প্রয়োজন আছে। শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্যেও ঘুম জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, বয়স, শারীরিক সক্রিয়তা এবং স্বাস্থ্যের ধরন অনুযায়ী সবার ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’ একটি গবেষণায় উল্লেখ করেছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সি মানুষদের ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। কিন্তু যাদের ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমোনোর অভ্যাস রয়েছে, তাদের রোগব্যধি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। বেশি ঘুমোলে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়?


মানসিক অবসাদ

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব থাকে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলায় উঠলে আলস্য লাগে, চনমনে ভাব থাকে না। কোনো কাজেই তেমন উৎসাহ পাওয়া যায় না।


প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া

দীর্ঘ ক্ষণ ঘুমোলে শারীরিক সক্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়। ফলে নারী এবং পুরুষ উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। শারীরিক ভাবে সক্ষম না থাকলে, প্রজননে সাহায্যকারী হরমোনগুলোর ভারসাম্যও নষ্ট হয়।


স্থূলতা

বেশি ঘুমোলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সব রোগও বাড়তে থাকে ঘুমের সঙ্গেই।


হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা

বেশি ঘুমোলে দিনের অনেকটা সময় শুয়ে শুয়েই অতিবাহিত হয়ে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তাই নয়, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা বাড়াতে পারে রক্তের এমন সব গোলমাল ঘটাতে পারে ঘুমের পরিমাণ।


রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে কোনো ব্যক্তি কেমন ভাবে জীবনযাপন করছেন, তার উপর। কারণ, তার সারা দিনের খাওয়া-দাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে ঐ ব্যক্তির বিপাকহারের উপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনো রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.