ভারতীয় সেনাদের মারতে চিনা বাহিনীতে ছিল মার্শাল আর্ট ফাইটার ও পর্বতারোহী দল?



Odd বাংলা ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় বিরোধপূর্ণ সীমান্তে চিন-ভারত দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে ১৫ই জুন। ওই সংঘাতে এক কর্নেলসহ অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। তবে গোলাগুলি ছাড়া শুধু শারীরিক সংঘাতে এত সেনার মৃত্যু কিভাবে হল সেটা নিয়ে রহস্য ছিল শুরু থেকেই। এবার জানা গেল নেপথ্যের ঘটনা। গালওয়ানের ভারতীয় সেনার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঠিক আগেই চলতি মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের বাহিনীতে মার্শাল আর্ট ফাইটার এবং পর্বতারোহীদের যুক্ত করেছিল চায়না পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)৷ চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমেই এই খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ দু' দেশের সীমান্তে উত্তেজনা একেবারেই নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু চলতি মাসে দুই বাহিনীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ গত ৫০ বছরে সবথেকে রক্তক্ষয়ী ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে৷

চিনের মিলিটারি বিভাগের সরকারি সংবাদপত্র চায়না ন্যাশনাল ডিফেন্স নিউজ-এর খবর অনুযায়ী, মাউন্ট এভারেস্ট অলিম্পিক টর্চ রিলে দলের প্রাক্তন কয়েকজন সদস্য এবং একটি মিক্সড মার্শাল আর্ট ক্লাবের ফাইটাররা গত ১৫ জুন লাসা-তে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষার জন্য হাজির হয়েছিলেন৷

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা গিয়েছে, তিব্বতের রাজধানীতে হাজারে হাজারে নতুন বাহিনী জড়ো হচ্ছে৷ পিএলএ-এর তিব্বতের কম্যান্ডার ওয়াং হাইজাং দাবি করেছেন, এনবো ফাইট ক্লাবের সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি সাংগঠনিক ভাবে তাদের বাহিনীর শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি করবে৷ তাদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র দ্রুত সরাতেও সুবিধা হবে৷ এর পাশাপাশি শত্রুপক্ষকে দ্রুত জবাব দেওয়া এবং বাহিনীকে সাহায্য করার ক্ষেত্রেও এই নতুন নিয়োগ যথেষ্ট সাহায্য করবে৷ ঘটনাচক্রে সেদিন গভীর রাতেই লাসা থেকে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দূরে লাদাখের গালওয়ানে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত এবং চিনের বাহিনী৷ সেই ঘটনায় ভারতের ২০ জন সেনার মৃত্যু হয়৷ যদিও চিনের কতজন সেনার মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খোলেনি বেইজিং৷
Blogger দ্বারা পরিচালিত.