অন্যের বউয়ের সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে ঝগড়া, প্রাণ গেল যুবকের


Odd বাংলা ডেস্ক: হাওড়ার ফজিরবাজারের জেলেপাড়া নামক এলাকায় পরকীয় সম্পর্কের জেরে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় গৃহবধূর বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সকাল ১১টা দিকে ঘটনাটি ঘটে। এই বিষয়ে  হাওড়া থানায় লিখিতভাবে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কবিতা দুবের নামক এক গৃহবধূর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিঞ্জিরা বাজার এলাকার পরিবহন ব্যবসায়ী আশিস কুমার সিংয়ের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কথাবার্তাও চলত মোবাইল ফোনে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই নারীর বাড়িতে মাঝেমধ্যে যাতায়াত শুরু করেন আশিস। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি ওই নারীর বাড়িতে এসে হাজির হন তার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু হঠাৎ তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। একপর্যায়ে বড় কাঁচি দিয়ে বছর পঁয়তাল্লিশের আশিসের পেটে আঘাত করেন কবিতা। তখন ঘরের মধ্যে থাকা বিছানার ওপরে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন আশিস। ধস্তাধস্তির ফলে কবিতার শরীরেও আঘাত লাগে। তার কপাল ও গলার পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের দাগ রয়েছে।

তাদের চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ পেয়ে ওই বাড়িতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরের মধ্যে কবিতা, তার ছোট ছেলে এবং কবিতার প্রেমিককে দেখতে পান। রক্তাক্ত অবস্থায় আশিসকে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা স্থানীয় হাওড়া থানায় খবর দেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। আহত আশিসকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। আহত কবিতাকে ভর্তি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনার পরে আসেন আশিসের ছেলে। তিনি হাওড়া থানায় লিখিতভাবে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কবিতা ও তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত আশিসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কবিতা গৃহবধূ হলেও ঘরে সেলাইয়ের কাজ করতেন। পাশাপাশি কয়েক জন শিল্পীকে নিয়ে তাদের নিজস্ব একটি দল আছে। বছর দুয়েক আগে কবিতা আশিসের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন। সেই থেকে দু’জনের পরিচয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলাপ ক্রমে গভীর হয়। তবে সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। কবিতা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। কবিতার স্বামী ওয়াচম্যানের কাজ করেন। ঘটনার সময় তিনি ঘরে ছিলেন না।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.