মেয়ের সম্ভ্রম বাচাঁতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে খুন মা



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা মহামারির মাঝেও ভারতে থেমে নেই ধর্ষণ, খুন, শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ। এবার বাগনানে ঘটল অত্যন্ত মর্মান্তিক এক ঘটনা। মেয়ের শ্লীলতাহানি রুখতে গিয়ে বখাটেদের হাতে প্রাণ গেল মায়ের। ওই মহিলাকে দুই বখাটে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও পরে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাগনানজুড়ে। রাজ্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় শুরু থেকেই ঘটনায় অভিযুক্তের উচিত শাস্তির কথা বলে আসছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো ভাবেই অভিযুক্তকে ছাড় দেওয়া হবে না। যদিও ঘটনায় শাসক দলের যুক্ত থাকার অভিযোগ করে আসরে নেমেছে বিজেপি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিজেপি বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধও করে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সৌমিত্র খাঁ।

যদিও দোষী তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত নয় বলে সাফ জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, 'দোষ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আজকের ঘটনায় দোষীকে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। অভিযুক্ত তৃণমূলের কেউ নয়। মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্তের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাদের বাড়িতে সে গিয়েছিল। তখন মেয়েটির মাকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে তিনি মারা যান।'

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ছাদে মোবাইলে গেম খেলছিলেন গোপালপুরের এক তরুণী। তখনই তরুণীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে এক বখাটে। মা-মা করে চিৎকার করে ওঠেন তরুণী। মেয়ের চিৎকার শুনে তরুণীর মা ছাদে উঠে বাধা দিতে যান। সেই সময়ই এক অভিযুক্ত ধাক্কা দেন তরুণীর মাকে। মুহূর্তেই সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নীচে পড়ে যান মহিলা। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান তিনি। পরিস্থিতি বুঝেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায়। তরুণীর মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপরই এলাকায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সকলে। ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে বাগনান থানার পুলিশ। পালিয়ে গেলেও বুধবার বিকেলের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্তকে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.