ছেলেটাকে ছুঁয়েও দেখলো না ডাক্তাররা, লাশ জড়িয়ে পড়ে রইল বাবা-মা!



Odd বাংলা ডেস্ক: এক বছরে ছেলের নিথর দেহ বুকে জড়িয়ে হাসপাতাল চত্বরে শুয়ে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন প্রেমচাঁদ। পাশে বসে তার স্ত্রী আশা দেবীও অঝোরে কেঁদে যাচ্ছিলেন। রবিবার বিকেলে এমনই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেল উত্তর প্রদেশের কনৌজে। কয়েক দিন ধরে শিশুটির জ্বর। গলাও ফুলে উঠেছিল। ছেলেকে নিয়ে প্রেমচাঁদ ও তার স্ত্রী সোজা ছুটে গিয়েছিলেন কনৌজের সরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ, চিকিৎসকরা শিশুটিকে ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেননি, উল্টে প্রেমচাঁদকে বলেছেন, এখানে কিছু করা সম্ভব নয়। কানপুরের হাসপাতালে তারা যেন শিশুটিকে নিয়ে যান। যদিও চিকিৎসকরা এবং হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেমচাঁদের এই অভিযোগকে সরাসরি নাকচ করেছেন।

 উল্টো হাসপাতালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই দিন বিকেল সোয়া ৪টা নাগাদ শিশুটিকে নিয়ে আসেন ওই দম্পতি। তার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটিকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর খবর দেওয়া হয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে। কিন্তু ততক্ষণে আধঘণ্টা কেটে গেছে। এই সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় শিশুটির। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো দাবি করেন, শিশুটিকে বাঁচানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছিল। এখানে গাফিলতির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু প্রেমচাঁদের অভিযোগ, প্রথমে চিকিৎসকরা ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতেই চাননি। হাসপাতালেই বেশ কিছু লোক ঘটনাটির ভিডিও করতে থাকায় চিকিৎসকরা ছেলেকে পরীক্ষা করা শুরু করেন। আমাদের আধঘণ্টা অপেক্ষা করানো হয়েছিল। তারপর ছেলেকে কানপুরে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকরা।" এর পরই প্রেমচাঁদ বলেন, 'আমি গরিব মানুষ। টাকা নেই। কিই বা করতে পারতাম!'
Blogger দ্বারা পরিচালিত.