আজ ভারতের ওপর চিনের এই আক্রমণের জন্য নেহরু দায়ি, তার উচিত ছিল তিব্বতকে স্বাধীন ঘোষণা করা



Odd বাংলা ডেস্ক: ১৯৬০ সালের পর থেকে গোটা দক্ষিণ এশিয়া দখলের দিকে নজর রেখেছে চিন!‌ মারাত্মক তথ্য দিয়ে ভারতকে সতর্ক করলেন তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান লবসাং সাংগে। তিনি বললেন, চিনা আগ্রাসনের মুখে পড়তেই হবে ভারতকে। তিনি জানিয়েছেন, শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি আসলে ভারতের উপমহাদেশীয় এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করার ছক কষছে অনেকদিন থেকেই। যেভাবে তারা তিব্বতের ওপর নিজের ক্ষমতা কায়েম করেছে, সেভাবেই এবার ভারতের পাশেই থাকা নেপালের ওপর ক্ষমতা কায়েম করার লক্ষ্যে তাঁরা এগোচ্ছে। আর সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ভারত–নেপালের মধ্যে গড়ে ওঠা সুসম্পর্কে এখন চিড় ধরতে বসেছে। শুধু তাই নয়, লাদাখে চিনা সেনার বাড়বাড়ন্তেও তিনি নতুন ছকের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। যেভাবে চিন দু’‌দেশের মধ্যে শান্তি ও মিত্রতা বজায় রাখার পরিবেশ ভঙ্গ করে লাদাখ সীমান্তে ঝামেলা পাকিয়েছে, তাতে তাঁর মনে হয়েছে চিনের নজরে রয়েছে লাদাখও। ইতিমধ্যে নেপালের বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করেছে চিন। সেখানে আউটপোস্ট বানানোর পরিকল্পনাও নাকি তাদের রয়েছে। টানা ৩৩ হেক্টর নেপালের জমি এখন চিনের দখলে র‌য়েছে।

ইতিহাস কী বলছে?

কয়েকদিন আগে দলাই লামা বলেছিলেন "জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল তিব্বতকে স্বাধীন ঘোষণা করা। কিন্তু সেখানে ভারত ১৯৬০ নাগাদ মেনে নেয় যে তিব্বত চিনের অঙ্গ।"

বিশেষজ্ঞরা বলছেন আজ যদি তিব্বত স্বাধীন হত তাহলে চিনের এত ক্ষমতা থাকত না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিন বিশ্বাস করে যে তারাই একমাত্র সভ্য জাতি। আর পৃথিবীর বাকিরা অসভ্য বর্বর। তাই তাদের সভ্য করতে তাদের দেশ দখল করবে চিন। দেশটির ভাবনার কারণেই আজ তারা ভারতের ওপর আক্রমণ করছে। তিব্বতের বহু নির্বাসিত নেতা বারে বারে শেষ ৪০ বছর বলে আসছে যে একদিন চিন ভারত আক্রমণ করবে। কিন্তু কংগ্রেস সরকার কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। বর্তমানে ভারতের উচিত আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগার করে অবিলম্বে চিনের কাছ থেকে তিব্বতকে ছিনিয়ে নেওয়া।  
Blogger দ্বারা পরিচালিত.