৭ দিন ধরে অভুক্ত, অনাহারে’ মৃত্যু ৫ বছরের শিশুকন্যার
Odd বাংলা ডেস্ক: ৭ দিন ধরে মেয়েটাকে কিছু খেতে দিতে পারিনি, খিদের জ্বালায় ছটফট করতে করতে মরে গেল মেয়েটা’। সন্তান হারানোর বেদনায় এই ছিল ক্রন্দনরত মায়ের বিলাপ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বারোলি আহির ব্লকের নগলা বিধিচন্দ গ্রামে। এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে একমুঠো অন্নও ছিল না। অনেকদিন ধরেই কিছু খায়নি ৫ বছরের সোনিয়া। খিদের জ্বালায় একসময় ধুম জ্বর আসে তাঁর। এরপর ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট সোনিয়া। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অবশ্য ৫০ কেজি আটা, ৪০ কেজি চাল, ডাল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে যায় সোনিয়ার বাড়িতে। অথচ সোনিয়া না খেতে পেয়েই চলে গেল।
খিদের অসহ্য জ্বালা সঙ্গে নিয়েই। শুক্রবার সোনিয়ার মৃ’ত্যুর পর, তার মা শিলা দেবী বিলাপ করে যাচ্ছিলেন সন্তান হা’রানোর বেদনায়। শুধু সোনিয়াই নয়, শিলা দেবীর কথায়, নোটবন্দীর সময় অনাহারে মৃত্যু হয় তাঁর ৮ বছরের ছেলেরও। মৃত সোনিয়ার মা শীলা দেবী জানিয়েছেন, তিনি দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁর স্বামীর শ্বা’সক’ষ্ট রয়েছে। কাজ করতে পারেন না। মে’য়েকে ঠিকমতো খেতে দিতে পারেননি। শেষ একমাসে অবস্থা আরও খারাপ হয়। পড়শিরা সাহায্য করায় ১৫ দিন মতো খাবার জুটেছিল। এদিকে মে’য়ের শরীর দুর্বল ছিল। অপুষ্টিতে ভুগছিল সোনিয়া। শিলা দেবী জানিয়েছেন যে, সাতদিন ধরে কোনও খাবার ছিল না ঘরে। তিনদিন আগে সোনিয়ার জ্বর আসে। ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছিল সে। অনেক ছোটাছুটি করেও কোনও লাভ হয়নি। অনেকের কাছে হাত পেতেও কোনও লাভ হয়নি। জোটেনি খাবার। মে’য়ের চিকিৎসা করার অর্থও ছিল না। শেষে মৃ’ত্যু হয় সোনিয়ার। এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভাঙে যোগী প্রশাসনের। ঘটনার ত’দন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জে’লা’শাসক প্রভু এন সিংহ জানিয়েছেন, শি’শুটির মৃ’ত্যু কী’ভাবে হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ত’দন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে ময়নাত’দন্ত করা যায়নি কারণ, পরিবারটি কাউকে না জানিয়েই শি’শুটিকে সমাধিস্থ করেছে। জানিয়েছেন জে’লা’শাসক। স্থানীয় প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, মে’য়েটির মৃ’ত্যু খিদের জ্বালায় মৃ’ত্যু হয়নি। শি’শুটির মৃ’ত্যু হয়েছে জ্বর ও ডায়েরিয়ায়। এদিকে এও জানা যাচ্ছে যে, লাইটের বিল এসেছিল সাত হাজার টাকা। দরিদ্র পরিবার সেই টাকা শোধ দিতে পারেনি। ফলে মাস তিন আগে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা থেকে এসে লাইন কে’টে দিয়ে যায়। শীলা দেবী জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে কারও রেশন কার্ড হয়নি।
খিদের অসহ্য জ্বালা সঙ্গে নিয়েই। শুক্রবার সোনিয়ার মৃ’ত্যুর পর, তার মা শিলা দেবী বিলাপ করে যাচ্ছিলেন সন্তান হা’রানোর বেদনায়। শুধু সোনিয়াই নয়, শিলা দেবীর কথায়, নোটবন্দীর সময় অনাহারে মৃত্যু হয় তাঁর ৮ বছরের ছেলেরও। মৃত সোনিয়ার মা শীলা দেবী জানিয়েছেন, তিনি দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁর স্বামীর শ্বা’সক’ষ্ট রয়েছে। কাজ করতে পারেন না। মে’য়েকে ঠিকমতো খেতে দিতে পারেননি। শেষ একমাসে অবস্থা আরও খারাপ হয়। পড়শিরা সাহায্য করায় ১৫ দিন মতো খাবার জুটেছিল। এদিকে মে’য়ের শরীর দুর্বল ছিল। অপুষ্টিতে ভুগছিল সোনিয়া। শিলা দেবী জানিয়েছেন যে, সাতদিন ধরে কোনও খাবার ছিল না ঘরে। তিনদিন আগে সোনিয়ার জ্বর আসে। ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছিল সে। অনেক ছোটাছুটি করেও কোনও লাভ হয়নি। অনেকের কাছে হাত পেতেও কোনও লাভ হয়নি। জোটেনি খাবার। মে’য়ের চিকিৎসা করার অর্থও ছিল না। শেষে মৃ’ত্যু হয় সোনিয়ার। এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভাঙে যোগী প্রশাসনের। ঘটনার ত’দন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জে’লা’শাসক প্রভু এন সিংহ জানিয়েছেন, শি’শুটির মৃ’ত্যু কী’ভাবে হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ত’দন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে ময়নাত’দন্ত করা যায়নি কারণ, পরিবারটি কাউকে না জানিয়েই শি’শুটিকে সমাধিস্থ করেছে। জানিয়েছেন জে’লা’শাসক। স্থানীয় প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, মে’য়েটির মৃ’ত্যু খিদের জ্বালায় মৃ’ত্যু হয়নি। শি’শুটির মৃ’ত্যু হয়েছে জ্বর ও ডায়েরিয়ায়। এদিকে এও জানা যাচ্ছে যে, লাইটের বিল এসেছিল সাত হাজার টাকা। দরিদ্র পরিবার সেই টাকা শোধ দিতে পারেনি। ফলে মাস তিন আগে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা থেকে এসে লাইন কে’টে দিয়ে যায়। শীলা দেবী জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে কারও রেশন কার্ড হয়নি।





Post a Comment