নিখোঁজ সংবাদ: ‘হারানো গিয়াছে’ কালো রঙের একটি কাক
Odd বাংলা ডেস্ক: প্রায়ই পত্র পত্রিকায় কিংবা মাইকিংয়ে শোনা যায় হারানো বিজ্ঞপ্তি। এত বছর বয়সী অমুক হারানো গিয়াছে। পরনে ছিল এই সেই ইত্যাদি ইত্যাদি। নারী পুরুষ, ছোট্ট শিশু কিংবা মানসিকভাবে অসুস্থ এমন অনেক মানুষের হারানো বিজ্ঞপ্তি নিশ্চয় শুনেছেন। তবে কাক হারিয়ে যাওয়ায় ঘটা করে ‘নিখোঁজ সংবাদ’ শুনেছেন কখনো? হ্যাঁ কা কা করে কান ঝালাপালা করে ফেলা পাখিটির কথাই বলছি।
কাকের কর্কশ কণ্ঠে অতিষ্ঠ মানুষের সংখ্যা কম নয়। বিশেষ করে শহুরে জীবনে কাকের উপদ্রব অনেককেই সহ্য করতে হয়। কাক নিয়ে অনেকের মধ্যে নানান কুসংস্কারও কাজ করে। আবার অনেকে একে পরিবেশের বন্ধুও বলে থাকেন। ময়লা পরিষ্কার করে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে এই পাখিটি। শখ করে কাক পোষেন এমন মানুষ দেখাই যায় না। সবকিছুর পরও কাকের জন্য কিছু মানুষের রয়েছে ভালোবাসা।
সম্প্রতি একটি ঘটনায় সেই ভালোবাসা অনেকের চোখে পুনরায় ধরা পড়েছে। যদিও অনেকেই চোখ কপালে তুলে বলছেন- কাকের জন্য এত কাণ্ড! ঘটনাটি হলো চিড়িয়াখানা থেকে একটি কাক হারিয়ে গেছে। অবশ্য হারিয়ে গেছে না বলে ‘উড়ে চলে গেছে’ বলাই ভালো। সেই কাক ফিরে পেতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চেষ্টার কমতি রাখছেন না। এজন্য তারা পত্রিকার পাতায় নিখোঁজ সংবাদও ছেপেছেন।
সম্প্রতি ডালাস চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের চিড়িয়াখানা থেকে একটি কাক উড়ে গেছে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে একটি ট্রেনিং সেশনে অংশ নেয়ার সময় সেটি উড়ে যায়।
কিন্তু একটি কাক উড়ে যাওয়ায় এত দুশ্চিন্তা কেন? কারণ আর দশটি সাধারণ কাকের মতো এটি নয়। এই কাকটি মানুষের মতো দর্শণার্থীদের ‘হাই’, ‘হিয়া’, ‘হাই অনিক্স’ প্রভৃতি শব্দ বলে আনন্দ দিতে পারতো। তাকে আরো প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্যই সেদিন খাঁচা থেকে বের করা হয়েছিল।
এ ছাড়া কাকটির আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো- এটি অন্য কাকের মতো পুরোটাই কালো নয়, তার বুকের অংশ সাদা রঙের। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ডালাস চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা এনিম্যাল অ্যাম্বাসেডর টিমের অনিক্স নামের একটি কাক খুঁজে পেতে আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা করছি। সে আমাদের মুক্তভাবে ওড়ার একটি প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার সময় উড়ে যায়।’
অপর এক টুইটে বলা হয়েছে, ‘দয়া করে শুধু তার ওপর নজরই রাখবেন না, আমাদের লোকেশন জানান, যেন দ্রুত তাকে নিরাপদভাবে তার বাসায় ফিরিয়ে আনতে পারি।





Post a Comment