মায়ের গর্ভে নয়, কিভাবে জন্মেছিলেন গণেশ?

Odd বাংলা ডেস্ক: পুরাণ মতে, গণপতির আরাধনা করলে সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। সুখ সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে দেন তিনি। 

গণেশের জন্মও কিন্তু বেশ রহস্যময়। 

পৌরাণিক কাহিনি বলে, একদিন মাতা পার্বতী হলুদ দিয়েই গড়লেন এক বালকের মূর্তি। প্রাণসঞ্চারও করলেন তাতে।জন্ম হল তাঁর দেহজাত জ্যেষ্ঠ পুত্রের। কৈলাসে তখন শিব অনুপস্থিত।

পার্বতী তাঁকে আদেশ দিলেন, ওনার স্নানকালে প্রধান দরজা পাহারা দিতে এবং কাউকে প্রবেশাধিকার না দিতে।  

এইসময় কৈলাসে হাজির স্বয়ং শিব। গৃহেপ্রবেশের মুহূর্তে তাঁকে আটকালেন গণেশ। ক্ষুব্ধ শিবের সঙ্গে বাঁধল সংঘর্ষ। ক্রোধে উন্মত্ত শিব তখনই তাঁর ত্রিশূল দিয়ে গণেশের মুণ্ডচ্ছেদ করলেন।

এ দিকে স্নানপর্ব সেরে মাতা পার্বতী মৃত গণেশকে দেখলেন। ভেঙে পড়লেন কান্নায়। ছেলের বিষয়ে সমস্ত কথা জানালেন মহাদেবকে। এরপর মৃত গণেশকে পুনরায় তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ করেন। 

পার্বতীর মন রাখতে তাই শিবও ছোট্ট গণেশের জন্য নন্দী ভিঙ্গীকে একটি কাটা মস্তক আনতে বলেন। শেষে তাঁরা মর্ত্য থেকে আনেন হাতির মাথা। তারপরই পুত্রের দেহে হস্তীমুণ্ড স্থাপন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেন মহাদেব।

কথিত আছে, এরপরই শিব সকলের সম্মুখে পুত্রের পরিচয় দিয়ে নামকরণ করলেন "গণেশ"।

দেবতাবৃন্দও আশীর্বাদ দিয়ে জানালেন, যে কোনও পুজো বা শুভকাজের শুরুতেই করতে হবে গণেশ পুজো। এই পুজো করলেই যে কোনও কাজে সিদ্ধিলাভ হবে। তাই তো তিনি সিদ্ধিদাতা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.