রান্নাঘরে থাকত বাঘের নখ-কুমিরের দাঁত! বাংলার হেঁসেলের ইতিহাস জানেন?

বিশেষ প্রতিবেদন: সে এক সময় ছিল। তখন রান্নাঘরের পাশেই থাকত অন্ধকার ভাঁড়ার ঘর। যেখানে উঁকি দিলেই দেখা যেত আমসি, আমচুর, আমসত্ত্ব, বড়ি। থাকে থাকে সাজানো থাকত কাঁচের বয়ামগুলি।
সেসময় ভাঁড়ারে দেখা যেত সিন্দুকও। কিন্তু তাতে সোনা গয়না নয়, থাকত তিন রকমের চাল। প্রতিদিন ভাঁড়ারে শোভা বাড়াত ড্যালা পাকানো ঘি। 

কি শুনে চমকে উঠলেন? ভাবছেন তো, ভাঁড়ারে সিন্দুক, ড্যালা পাকানো ঘি, এসব আবার কী! 
আরও একটা চমকপ্রদ তথ্য দিই। ভাঁড়ারে আর কী কী থাকত জানেন? 
সমুদ্রের ফেনা থেকে হরিণের শিং। বাঘের নখ, কুমিরের দাঁত থেকে সজারুর কাঁটা। অর্জুন গাছের ছাল, উনুনের পোড়া মাটি কিম্বা  ধূপের মশলাও থাকত সেখানে। গোটা বিশ্ব যেন আটকে ভাঁড়ার ঘরে। 
এই সময় ভেজাল নামক শব্দটির উৎপত্তি হয়নি। বিশ শতকের গোড়ার এইসব কালজয়ী ছবি এখনও আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে। 

এখনও মা-ঠাকুমাদের ভাঁড়ার ঘর উপচে পড়ে কাচের বয়ামে। তবে আজ আর উনুনের রেওয়াজ নেই। রান্নার গ্যাস-ওভেনে হারানোর পথে বাঙালির সাধের উনুন। উনিশ শতকীয় ধ্যানধারণা পাল্টে মানুষ আজ রঙিন। আগে রান্নাঘর মানে শুধুমাত্র মেয়েদের ঠিকানা। আর এখন? সেখানে ঢুকে পড়েছে পুরুষরাও।

ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, বিশ্বের সেরা সেরা শেফ কিন্তু পুরুষ। রান্নাঘর হয়ে উঠেছে নারী-পুরুষ-শিশুদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.