মঙ্গোলদের জীবন্ত সমাধি!

Odd বাংলা ডেস্ক: 'ইমিউরেমেন্ট’ সাধারণত শাস্তি হিসেবে বিবেচনা করা হলেও অন্যান্য উদ্দেশ্যেও এটি করা হতো। মানব বলিদান যার অন্যতম প্রকার। অভিজাতদের তাদের চাকর বা দাসদের সাথে সমাধিস্থ করার কাহিনি বিভিন্ন প্রাচীন সংস্কৃতিতে পাওয়া যায়। এটা বিশ্বাস করা হতো যে, এই লোকদের এমনভাবে বলি দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা তাদের মনিবদের পরকালীন জীবনেও সঙ্গ দিতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে, বলির শিকার ব্যক্তিদের দাফনের আগে হত্যা করা হয়েছিল। আবার জীবন্ত কবর দেওয়ার উদাহরণও আছে। মরক্কোর বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতার ‘রিহলা’তেও এমন উদাহরণ পাওয়া যায়। ‘রিহলা’ ইংরেজিতে ‘ট্র্যাভেলস অব ইবনে বতুতা’ নামেও পরিচিত। ১৩২৫ থেকে ১৩৫৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ইবনে বতুতা মোট ১ লাখ ২০ হজার কিলোমিটার (৭৫ হাজার মাইল) ভ্রমণ করেছিলেন। সে সময়কার প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশ ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। এমনকি দূর প্রাচ্যের চীন পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন।

ইবনে বতুতার চীন সফরের সময় সেখানে মঙ্গোল ইউয়ান রাজবংশের শাসন প্রচলন ছিল। তিনি সেখানকার মানব বলি সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। ইবনে বতুতার বর্ণনা মতে, মৃত একজন খানকে (শাসক) চারজন জীবন্ত মহিলা দাস এবং তার ছয়টি প্রিয় মামলুকসহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। যদিও ইবনে বতুতা এই শাসকের নাম উল্লেখ করেননি। যেহেতু চীন সম্পর্কে তার বর্ণনাটি যথেষ্ট অস্পষ্ট তাই ঐতিহাসিকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, ইবনে বতুতা আসলেই চীন ভ্রমণ করেছিলেন কিনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.