কেঁচো উৎসব, যে বেশি কেঁচো উঠাতে পারে সে বিজয়ী

Odd বাংলা ডেস্ক: উৎসব সবারই প্রিয়। সে হোক ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক। বিশ্বায়নের এ যুগে বিভিন্ন প্রান্তে উদযাপিত উৎসবের হালনাগাদ তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে। ফলে উৎসব এখন আর ধর্ম, সম্প্রদায় কিংবা জাতীয় সীমার মধ্যে আবদ্ধ নেই। হাজারো বর্ণিল উৎসব উদযাপিত হয় প্রতিবছর। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘ওর্ম চার্মার’। ‘ওর্ম চার্মার’।

ইংরেজি ‘স্নেক চার্মার’ এর বাংলা প্রতিশব্দ যদি হয় সাপুড়ে, তাহলে ‘ওর্ম চার্মার’ এর প্রতিশব্দ কি ‘কেঁচুড়ে’ হওয়া সম্ভব? প্রতিশব্দটি সঠিক হোক আর না হোক, ইংল্যান্ডের ডেভনের ব্ল্যাকঅটন গ্রামে প্রতিবছর মে মাসে অনুষ্ঠিত হয় এক বিচিত্র উৎসব, যার নাম ‘ব্ল্যাকঅটনস ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ওর্ম চার্মিং’বা কেঁচো উৎসব। এই উৎসবে ব্যক্তিগতভাবে নয়, দলগতভাবে যোগ দিতে হয়।

প্রতিটি দলকে কোনো আবাদযোগ্য জমিতে এক বর্গ মিটার জমি এবং ১৫ মিনিট সময় দেয়া হয়। এই ১৫ মিনিটে তারা পৃথিবীর তাবৎ কৌশল প্রয়োগ করতে পারবেন, কেবল খুঁড়তে পারবেন না। ১৫ মিনিটে যে দল সবচেয়ে বেশি কেঁচো মাটির উপর নিয়ে আসতে পারবে, তারাই বিজয়ী। 

তো খনন না করে কীভাবে কেঁচো বের করে আনে তারা? কেউ মধুর সুরে বাঁশি বাজান কেঁচোদের আকৃষ্ট করতে, কেউ বা মাটিতে ড্রাম রেখে প্রচণ্ড শব্দে বাজাতে থাকেন যেন অতিষ্ঠ কেঁচোরা উপরে উঠে আসে! কেউ আবার নির্ধারিত ভূমির এক পাশে আগুনের তাপ প্রয়োগ করেন, যেন অন্য পাশে উঠে আসে কেঁচোরা। আরেকটি পদ্ধতি হলো ধীর লয়ে ঝিরি ঝিরি পানি বর্ষণ করা, যেন কেঁচোদের কাছে মনে হয় বৃষ্টি নেমেছে!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.