করোনা ভাইরাসের যেসব ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বব্যাপী মাথা ব্যথার কারণ
Odd বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউরোপীয় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ইসিডিসি) কোভিড-১৯ অতিমারী পরিস্থিতিতে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের বিভিন্ন রূপগুলো শনাক্ত করেছেন, যা বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সেগুলোকে কড়া নজরে রাখা করা দরকার বলে জানিয়েছে।জেনে নিন কোন কোন ভ্যারিয়েন্ট এখন উদ্বেগের কারণ
- আলফা- আলফার (Alfa) উৎপত্তিস্থল মূলত ব্রিটেনে। এই ভেরিয়েন্টের সংক্রমণক্ষমতা অত্যন্ত বেশি এবং বৃটিশ গবেষকদের মতে, আলফা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পরে এই ভেরিয়েন্টটি অধিকতর সংক্রমণ করতে সক্ষম হয় না। অদ্যাবধি করোনাভাইরাসের আলফা রূপটি বৃটেনেই সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়েছে।
- বিটা- বিটার (Beta) উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আফ্রিকাতে। এই ভেরিয়েন্টে সংক্রমণের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি এবং সংক্রমণের পরে রোগীকে অতিদ্রুত মারাত্মক অসুস্থতার দিকে ধাবিত করে। এই ভেরিয়েন্ট ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকে দুর্বল করতে সক্ষম হয়। গবেষণায় দেখা যায় যে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ গ্রহণের পরে গুরুতর অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ভেরিয়েন্টটি ইউরোপের প্রায় সব দেশেই মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে।
- গামা- গামার (gama) উৎপত্তিস্থল ব্রাজিলে। সংক্রমণের দিক দিয়ে এই ভেরিয়েন্টটি অত্যন্ত মারাত্মক। তবে গবেষণায় দেখা যায় যে, ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে গুরুতর অসুস্থ রোগীর দেহে যথেষ্ট ভালো সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হচ্ছে। এই ভেরিয়েন্টটিও ইউরোপের অধিকাংশ দেশে অন্যান্য ভেরিয়েন্টের পাশাপাশি সমান তালে ছড়িয়েছে।
- ডেল্টা- ডেল্টার (Delta) উৎপত্তিস্থল ভারতে। এই ভেরিয়েন্টের সংক্রমণক্ষমতা অন্যান্য যেকোনো ভেরিয়েন্ট থেকে অনেক বেশি এবং গবেষণায় দেখা যায়, ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায় সমানতালে। প্রথম ডোজে ভ্যাকসিনের প্রভাব দুর্বল হয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে বেশ ভালো সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হয়। এই ভেরিয়েন্টটি বর্তমানে ইউরোপের প্রায় সব দেশেই মারাত্মকভাবে ছড়াচ্ছে এবং তাঁদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম অঞ্চলের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্তদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।





Post a Comment