দীর্ঘদিন ধরে মুখে ও ঠোঁটে ঘা, সতর্ক হন, আক্রান্ত হতে পারেন ওরাল ক্যান্সারে



 ODD বাংলা ডেস্ক: এখন বাড়ির থেকে রেস্তোরাঁর খাবারে সকলে বেশি অভ্যস্ত। এছাড়া, প্রসেসড ফুড (Processed Food) থাকে নিত্যদিনের খাদ্যাতালিকায়। সঙ্গে নানা রকম নেশা তো আছেই।  এই সব করতে গিয়ে, একের পর এক কঠিন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। নানা কারণে মারণ রোগের শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। প্রতিদিনই বিশ্বে বেড়ে চলেছে কান্সার (Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা। নানা রকম ক্যাান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এর মধ্যে, কিডনি ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার-সহ আরও রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। বর্তমানে দ্রুত ছড়াচ্ছে ওরাল ক্যান্সারের (Oral Cancer) মতো রোগ।   


ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO)-এর রিপোর্ট অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হলে ১ কোটি ৩০ লক্ষ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৌলতে বর্তমানে এই কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে, সঠিক সময় ধরা পড়লে, সঠিক চিকিৎসা হলে তবেই ক্যান্সার থেকে মুক্তি মেলে। তাই এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। 


মুখগহ্বর খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। এই স্থানে খাবার প্রবেশ করে। টক-ঝাল-মিষ্টি খাবার, তামাক, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার অনবরত মুখে প্রবেশ করে। তাই মুখের মধ্যে কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।  শুরুতেই সতর্ক হলে ওরাল ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 


জেনে নিন কেন হয় ওরাল ক্যান্সার। জানা গিয়েছে, পান, সুপারি, জর্দা, সিগারেট সহ তামাক বা তামাকের মতো পণ্য বেশি খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই ধরনের জিনিসে এমন কিছু উপাদান থাকে যা মুখের জন্য মোটেও ভালো নয়। ফলে, খুব সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে। 


মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল খান যারা, তাদের ওরাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অ্যালকোহন মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এটি শরীরে প্রবেশ করা মানে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়বে। তাই যতটা পারবেন মদ্যপান কম করুন। বর্তমানে, মদ্যপানটা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছেন সকলে। 


বংশগত কারণে অনেকেই ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরেন। জিনগত কারণে আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে। এক্ষেত্রে পরিবারের কারও ওরাল ক্যান্সার থাকলে আপনি নিয়মিত ডাক্তারি পরমার্শ নিন। সামান্য কোনও লক্ষণ দেখলে ফেলে রাখবেন না। তৎক্ষণাত যোগাযোগ করুন। সঠিক সময় চিকিৎসা করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।  


দীর্ঘদিন ঠোঁট ও মুখে ঘা হলে তা ফেলে রাখবেন না। মুখে ঘা থাকলে, তার থেকে হতে পারে ক্যান্সার। তাই সমস্যা বুঝলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। মুখে কালো কালো দাগ দেখা দিলে কিংবা দীর্ঘদিন ধরে ফুসকুঁড়ি থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। দীর্ঘদিন মুখে ঘা থাকলে, তার থেকে হতে পারে ওরাল ক্যান্সার।  


আসলারের সমস্যা অনেকেই ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করি। আবার অনেকে সমস্যা উপেক্ষা করে। তবে, দু সপ্তাহের বেশি আলসার থাকলে সাবধান। তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। এই আলসার ওরাল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। 


এই রোগ থেকে বাঁচতে সব সময় কয়টি জিনিস মেনে চলুন। প্রথমত, সারাদিন সূর্যালোকে থাকবেন না। সূর্যরশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাবের জন্য ক্যান্সার শরীরে বাসা বাঁধে। তাই দরকার ছাড়া সূর্যালোকে থাকে মোটেও উচিত নয়। এতে আপনার শরীরেই খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই সূর্যের প্রখর রোদে না বের হওয়াই ভালো।    



ওরাল ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চাইনে নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিন। বছরের দুবার দাঁতের ডাক্তার দেখান। দাঁতে কোনও সমস্যা থাকলে তার থেকে হতে পারে এমন রোগ। তাই সতর্ক থাকুন। সঠিক সময় ডাক্তারি পরামর্শ নিলে এমন কঠিন রোগও আপনাকে ছুঁতে পারবে না। তাই সুস্থ থাকতে অবশ্যই মেনে চলুন এই টোটকা।


রোগ থেকে বাঁচকে বিশেষ নজর দিন খাদ্যতালিকায়। রোজ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পূর্ণ খাবার খান। সবুজ সবজি ও ফলে থাকে এই উপাদান। এতে ওরাল ক্যান্সারের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই সুস্থ ও রোগ মুক্ত জীবন পেতে সব সময় মেনে চলুন ডাক্তারি পরামর্শ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.