লকডাউনের জের, খাবার না পেয়ে মৃত্যু হল কুকুর,বিড়াল,খরগোশ-সহ কয়েকশো প্রাণীর!
Odd বাংলা ডেস্ক: লকডাউনে বন্ধ দোকান-বাজার। করোনাভাইরাস অতিমারি ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলি লকডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কেবলমাত্র খাবার এবং জরুরী পণ্য এবং পরিষেবা প্রদানকারী দোকানগুলি খোলা রাখা হয়েছিল।
সেইমতো বন্ধ ছিল পাকিস্তানের পোষ্য মার্কেট। যেখানে সারা বছর কুকুর ছানা, বিড়াল ছানা এবং খরগোসের ছানা কেনাবেচা নিয়ে গমগম করত সেই বাজারও লকডাউনের কারণে তালাবন্ধ হয়ে পড়ে ছিল। কিছু কিছু দোকানের মালিকরা লকডাউনের মধ্যেও রাত্রিবেলা লুকিয়ে পোষ্যগুলিকে খাবার এবং জল দিয়ে আসত। কিন্তু পুলিশি কড়াকড়ির কারণে অধিকাংশ পোষ্য দোকানের মালিকরা পোষ্যদের খাবার দিতে যেতে পারতেন না।আর সেই কারণেই না খেতে পেয়ে খাঁচার মধ্যেই মৃত্যু হল কয়েকশো অবলা প্রাণীর।
লকডাউনের শুরুর দিনগুলিতে ওই পোষ্য বাজারের পাশে গিয়ে কুকুর,বিড়ালদের সমবেত কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন পাক প্রাণী সুরক্ষা কর্মী আয়েশা চুন্দ্রিগর। তাঁর কথায় পাকিস্তানে লকডাউন ঘোষণার ২ সপ্তাহ পর পর্যন্তও পশুদের কান্না তিনি শুনতে পেয়েচিলেন। তারপর একটা সময় কেমন যেন নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল চারিদিক।
এরপর আয়েশা চুন্দ্রিগরের নেতৃত্বে এক পশুপ্রেমী সংগঠন পুলিশের কাছে অনেক সাধাসাধির পর ওই পোষ্যের দোকান খোলা হলে, দেখা যায় অধিকাংশ প্রাণীর শরীরে আর প্রাণ নেই! সেখানকার প্রয়া ৭০ শতাংশ প্রাণীরই অনাহারে মৃত্য হয়েছে। আর যাদের শরীরে প্রাণ রয়েছে, তাঁদের অবস্থাও খুবই করুণ। এই ছবি করাচি এবং লাহোরের মতো বড় শহরের। সূত্রের খবর, করোনা মহামারি ঠেকাতে আচমকাই লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছিল পাক প্রশাসন। যার ফলে পোষ্য বিক্রেতারা কোনও প্রস্তুতিই নিতে পারেননি। যার ফলে এমন অমোঘ মৃত্যু নেমে এসেছে অবোলা প্রাণীগুলির জীবনে।





Post a Comment