আফ্রিকায় ভাইরাল করোনার হার্বাল ঔষুধ ‘কোভিড অর্গানিকস’



Odd বাংলা ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আস্তে আস্তে বাড়ছে আফ্রিকা মহাদেশে। সেই সঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত মহাদেশটিতে নানারকম করোনার চিকিৎসা পদ্ধতিও বাড়ছে। সম্প্রতি মহাদেশটিতে ভাইরাল হয়েছে মাদাগাসকারে তৈরি হার্বাল ঔষুধ ‘কোভিড অর্গানিকস’। গেল সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা এটির বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি জানান এই হার্বাল ঔষুধ করোনার চিকিৎসায় কার্যকর। এটি করোনা রুখে দিতে পারে। করোনা চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। মালাগাসি ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লায়েড রিচার্সের সঙ্গে যৌথভাবে ঔষুধটি তৈরি করেছেন ডাক্তার জেরোমি মুনিয়াগি। নামকরণ করেছেন ‘কোভিড অর্গানিকস’। এটি মূলত ম্যালেরিয়ার বিপক্ষে কার্যকর ভেষজ উদ্ভিদ ‘আর্তেমিসিয়া’ দিয়ে তৈরি। উদ্ভিদটি আফ্রিকার অধিকাংশ দেশে চাষ হয়। এরপর থেকে আফ্রিকা জুড়ে রীতিমতো ভাইরাল এই ঔষুধ। তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলিও তার দেশের জন্য এই ঔষুধ আনার জন্য বিমান পাঠিয়েছেন মাদাগাসকারে। এ ছাড়া কঙ্গো, গিনি বিসাউ ও ইকুয়েটোরিয়াল গিনির প্রেসিডেন্টরাও ঔষুধটি অর্ডার করেছেন। এমন সময় বুধবার (৬ মে) এটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। মূলত মাদাগাসকার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এই ঔষুধের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা চেয়েছে। আর সেটিতে রাজি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েলি এমখিজে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমরা মাদাগাসকার সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি কোভিড অর্গানিকসের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার। আমাদের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় সহায়তা করবে। এই হার্বাল ঔষুধটির বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আমরা যুক্ত হচ্ছি।’ মজার ব্যাপার হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশে কোভিড অর্গানিকসের এমন জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে মাদাগাসকার এটির ‘ইনজেকশন ডোজও’ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। শিগগিরই তারা উৎপাদনে যাবে। যেটার নামকরণ করেছে ‘সিভিও’! যদিও করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই ধরনের হার্বাল ঔষুধের ব্যবহার অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তারা এসব স্বঘোষিত ঔষুধ ও চিকিৎসা থেকে মানুষকে দূরে থাকতে বলেছে। একই কথা বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা— ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ হেলথ। তবে জাতিসংঘ মাদাগাসকারকে বলেছে তারা যদি কোভিড অর্গানিকস যে করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর, সেটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারে তাহলে স্বাগত জানাবে। এরপরই দীপরাষ্ট্রটি যোগাযোগ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। এখন দেখার বিষয় বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে এই হার্বাল ঔষুধের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয় কিনা।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.