বাঁদরের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষায় চিনে সাফল্য



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রতিযোগিতা চলছে বিভিন্ন দেশে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবার মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছিল যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এখনো তার ফলাফল জানার অপেক্ষায় বিশ্ব। এবার প্রাণীদেহে নিজেদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করে শতভাগ সাফল্যের দাবি করেছেন চিনের গবেষকরা। চিনের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বানরের শরীরে ‘পিকোভ্যাক’ নামের ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন চিনের গবেষকরা। প্রচলিত ভাইরাসপ্রতিরোধী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে বেইজিংয়ের সিনোভ্যাক বায়োটেক নামের প্রতিষ্ঠান। এটি প্রাণীর শরীরে প্রয়োগ করলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাসকে মেরে ফেলে। গবেষকরা মার্চের শুরুতে রিসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির একদল বানরের শরীরে ‘পিকোভ্যাক’ প্রয়োগ করে। তার তিন সপ্তাহ পর নতুন করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে নেওয়া হয় বানরগুলোকে। এক সপ্তাহ পর দেখা যায়, বেশিমাত্রায় ভ্যাকসিন দেওয়া বানরগুলোর ফুসফুসে ভাইরাস নেই। মানে প্রতিষেধকটি কাজ করেছে। আর যেসব বানরকে পিকোভ্যাক দেওয়া হয়নি, তাদের শরীরে গুরুতর নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে। ভ্যাকসিনটি মানুষের শরীরেও পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ী মহামারি ঠেকাতে কেবল পিকোভ্যাকই আশার আলো হয়ে জ্বলছে না। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চিনা সামরিক প্রতিষ্ঠান একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ করা হবে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে আছে এটি। কিন্তু ভ্যাকসিন তৈরিতে নিকট ভবিষ্যতে স্বেচ্ছাসেবী খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে চিনের জন্য। কারণ মাত্র কয়েকশ করোনা রোগী আছে দেশটিতে। ঠিক একই পরিস্থিতির কারণে ২০০৩ সালে সার্স ভ্যাকসিনের উদ্ধাবন বন্ধ হয়ে যায়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.