মৃত্যুর পর যম নয়, আপনার প্রথম সাক্ষাত হবে এই দেবতার সঙ্গে, জানেন কে তিনি?


Odd বাংলা ডেস্ক: মৃত্যু এবং মৃত্যুর পরবর্তীকাল নিয়ে মানুষের মনে কল্পনার অন্ত নেই। কিন্তু মৃত্যুর পর কী হয় আত্মার, কেমন আচরণ করা হবে তার সঙ্গে - তা বলে দেন চিত্রগুপ্ত, যিনি মৃত্যুর পরই প্রকট হন। তিনিই বলে দেবেন আপনার জীবদ্দশার পাপ-পূণ্যের খতিয়ান। তিনিই হিসাব কষে বলে দেন, আত্মাকে কতদিন স্বর্গ বা নরকে বাস করতে হবে। 

মৃত্যুর দেবতা যমরাজের খাতাঞ্চি হলেন এই চিত্রগুপ্ত। একটি জাবদা খাতায় তিনি পাপ-পুণ্যের হিসেব কষে চলেছেন নিরন্তর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে যে, ভারতে এবং নেপালের কায়স্থ সম্প্রদায়ের কাছে তাঁর উপাসনা করা হয়। চিত্রগুপ্ত হলেন ব্রহ্মার সন্তান। পৌরাণিক কাহিনি থেকে জানা যায়, ব্রহ্মা নরকের দায়িত্ব যমকে অর্পণ করার পর যম খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েন। কারণ একের পর এক আত্মার আগমনে পুরো বিষয়টা সামলে উঠতে পারছিলেন না যম। আর তাই ভুলবশত স্বর্গে পথিকদের নরকে আর নরকের পথযাত্রীদের স্বর্গে পাঠাচ্ছিলেন তিনি। আর এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েই ব্রহ্মার দ্বারস্থ হন যম। যমের সমস্যার সমাধান করতে ব্রহ্মা হাজার বছর ধরে তপস্যা করেন। ধ্যান ভঙ্গ করে তিনি দেখতে পান, তাঁর দেহ থেকেই উদ্ভূত হয়েছেন এক অনিন্দ্যকান্তি পুরুষ। তাঁর হাতে কাগজ-কলম।
ব্রহ্মার 'কায়া' থেকে উদ্ভূত হয়েছিলেন বলেই চিত্রগুপ্তের সন্তানরা 'কায়স্থ' নামে পরিচিত হন। আর এই চিত্রগুপ্তকেই মানুষের পাপ-পুণ্যের হিসেব রাখার কাজে নিযুক্ত করা হল। আর তাই চিত্রগুপ্তের পুজোয় দোয়াত-কলম, মধু, সুপারি, সর্ষে, আদা, গুড়, চিনি ও চন্দন নিবেদন করা হয়। এছাড়াও তাঁর পুজোয়- ন্যায়বিচার, শান্তি, শিক্ষা ও জ্ঞান- চারটি গুণকে স্মরণ করা হয়। ভাইফোঁটার দিন ভারতে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.