কখনও কি ভেবে দেখেছেন, একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে আনুমানিক কত টাকা খরচ হতে পারে


ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, Odd বাংলা: সারা বিশ্ব যখন করোনায় কাবু, তখন এই রোগ নিরাময়ে সকলেই অপেক্ষা করে রয়েছেন, যে কবে বেরোবে করোনার ভ্যাকসিন। কিন্তু আপনারা কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে আনুমানিক কত খরচ হতে পারে? 

একটি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় তাতে একাধিক দিক জড়িত। একটি ভ্যাকসিন তৈরি করা যেমন একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, তেমন ভ্যাকসিন তৈরির পর অল্প সময়ের মধ্যে তা সারা বিশ্ববাসীর কাচে পৌঁছে দেওয়া কিন্তু একইরকম চ্যালেঞ্জিং। 

দ্যা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন নামে একটি সংস্থা যারা একসঙ্গে ন'টি আলাদা ভ্যাকসিন প্রকল্পে মূলধন যোগাচ্ছে। তারাই জানিয়েছে যে, একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে আনুমানিক ২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় হবে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, সারা বিশ্বজুড়ে যেভাবে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে করে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একাধিক ভ্যাকসিনেরও প্রয়োজন হতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশনের নেতৃত্বে একটি বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালানো হবে, যেখানে কোভিড -১৯-এর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা, উৎপাদন এবং তা বিতরণের জন্য ৮ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এর ফলে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা ব্যবস্থা শুরু হতে পারে। 

প্রসঙ্গত, ভারতও কিন্তু ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক অন্যতম নাম। সারা বিশ্বের মোট ভ্যাকসিনের ৬০ শতাংশ সরবরাহ করা হয় ভারত থেকে। পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক ভ্যাকসিন সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৬০-৮০ শতাংশ অবদান রাখে ভারত। বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা সারা বিশ্বে কয়েক বছর ধরে ভ্যাকসিন তৈরি ও বিতরণে সহায়তা করে আসছে। আর এই সাহায্য করতে পারা সম্ভব হয়, তার অন্যতম কারণ হ'ল কম খরচে ভ্যাকসিনগুলি উৎপাদন করতে পারে ভারত। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের ব্যাপক প্রাপ্যতার কারণে ভারত সারা বিশ্বে কম দামে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। আর সেই কারণে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের দিয়ে চেয়ে আছে বিশ্বের একাধিক দেশ। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.