বিশ্বাসঘাতক চিনতে নিজেই মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিলেন কিম!



Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে এক রহস্যের নাম উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন। সবশেষ আলোচনায় এসেছেন প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জনসম্মুখে না এসে। হার্ট অ্যাটাক অথবা করোনায় মারা গেছেন এমন গুজবও ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকারের মধ্যে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করতে কিম নিজের মৃত্যুর গুজব নিজেই ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। মৃত্যুর গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে গত শুক্রবার প্রায় ২০ দিন পর জনসম্মুখে আসেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ওইদিন রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সানচিয়নে একটি সার কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন কিম। এর আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে সংবাদ প্রকাশ করে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। কিমের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করে অনেক সংবাদ মাধ্যম। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি জেমস মরো বলেন, 'এই মৃত্যুর গুজবের মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতকদের চিনতে পেরেছেন কিম। সে এই সময়ে দেখতে চেয়েছেন যে তার জায়গায় কে ক্ষমতা নিয়ে চায়।' জেমস মরোর ধারণা, যাদেরকে বিশ্বাসঘাতক মনে হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখন ধরপাকড় চালাবে কিম জং উন। আর এভাবে সে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের প্রফেসর নাতাশা লিন্ডস্টায়েডটি বলেন, আমি ধারণা করছি খুব শিগগিরই কিছু মানুষকে শাস্তির আওতায় আনা হবে উত্তর কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে ভয়াবহ শাস্তি দিতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন প্রফেসর নাতাশা লিন্ডস্টায়েডটি। এর আগে কিম মারা গেছেন অথবা গুরুতর অসুস্থ বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে জল্পনা আলোচনা চলে। কোনো কোনো প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বারবারই বলছেন, কিম বেঁচে আছেন, ভালো আছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.