করাচি বন্দরে চিনের সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান; ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি?



Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতশাসিত লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা কেবল বাড়ছেই। দফায় দফায় আলোচনার পর লাদাখের গানওয়াল সীমান্ত থেকে পিছু হটেছে চিনের সেনাবাহিনী বলে দাবি করা হয় ভারতের পক্ষ থেকে। কিন্তু স্যাটেলাইটে তুলা ছবি বলছে অন্য কথা। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে যে, লাদাখ সীমান্ত ঘেঁষে ব্যাপকভাবে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিনের বাহিনী। এমনকি গানওয়াল নদীর পর্যন্ত আটকে দেওয়া হয়েছে বলে এরই মধ্যে চিনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। এখানেই শেষ নয়, সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। করাচি বন্দরে রাখা হয়েছে চিনের ০৯৩-শ্যাং নিউক্লিয়ার সাবমেরিন।

 লাহোরে জে-১১ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এমনটাই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানকে সরাসরি চিনা সমরঘাঁটিতে পরিণত করে ফেলেছে চিন। আর তা করে ভারতের বিরুদ্ধে একেবারে যুদ্ধের প্রস্তুতি চিনের সেনাবাহিনী। লাদাখের সীমান্ত সঙ্কট নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা, বৈঠক এবং শান্তির বার্তার আড়ালে চিন চূড়ান্ত সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে এরই মধ্যে ভারতীয় সেনাকেও সতর্ক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে,পাকিস্তানের তিনটি বিমানবন্দরে চিনের বিমানাবাহিনীর একঝাঁক ফাইটার জেট রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শতাধিক সেনাও পাকিস্তানে ঘাঁটি তৈরি করেছে বলে খবর। যদিও তথ্য বলছে ২০১৭ সাল থেকে করাচি বন্দরে একটি চিনের সাবমেরিন রাখা হয়েছে। সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের খবর আসতে চিনের নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের তৎপরতা ধরা পড়েছে বলে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে পাকিস্তানের মাটিতে চিনের এহেন সেনা তৎপরতা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত। বিভিন্ন এয়ারবেসে ভারতীয় বিমান বাহিনীর তৎপরতা বাড়িয়েছে। সেনাবাহিনীতেও একেবারে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমশ সেনা বাড়ানো হচ্ছে বলেও ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে। ভারত-পাকিস্তান সেক্টরে সেনাকে সর্বোচ্চ অ্যালার্টে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সীমান্তে যুদ্ধবিমানগুলিকে ওড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। চিনের সেনাবাহিনী একটু হালকা হলেও এখনও সরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। বরং ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চিনের সেনা এমন ঘাঁটি গেড়ে বসেছে যে, ভারতীয় সেনার পেট্রলিং পয়েন্টের রাস্তাই কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.