স্বাস্থ‍্যকর্মীরা গেলেন করোনা রোগীকে আনতে, গিয়ে জানলেন রোগী বাজারে গিয়েছে ঝালমুড়ি বেচতে!



Odd বাংলা ডেস্ক: মালদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড়। শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা। শনিবার সকাল থেকে ঝাল মুড়ি দোকান নিয়ে বসে ছিলেন এক বিক্রেতা। বেলা পর্যন্ত অনেক মানুষের মধ্যে ঝাল মুড়ি ও অন্যান্য খাবার সামগ্রী বিক্রি করেন তিনি। এরপরই জানা যায়, তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করেননি, পেটের দায়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাড়ির বাইরে। জনবহুল এলাকা থেকে করো’না আ’ক্রান্ত এক মুড়ি বিক্রেতাকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ! জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়ির পাশে দু’জনের লালারস বা সোয়াব পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর ওই মুড়ি বিক্রেতা-সহ এলাকার সকলেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগে শহরের প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড়ে যথারীতি মুড়ি বিক্রি করতে শুরু করে দেন তিনি।

তড়িঘড়ি এলাকা স্যানিটাইজ করতে পথে নামেন ইংরেজবাজার পুরসভার স্প্রে কর্মীরা। এলাকায় পুরপ্রশাসক ও বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। রিপোর্ট জানার আগেই এভাবে প্রকাশ্যে দোকান করা ঠিক হয়নি বললেন নীহাররঞ্জন। প্রথমদিকে পরিযায়ীরা আ’ক্রান্ত হলেও এবার আ’ক্রান্ত হচ্ছেন অনেক সাধারণ মানুষ। এনিয়ে শহরে বাড়ছে আতঙ্ক, উদ্বেগ। একদিনে ফের বিপুল করোনা সংক্রমণ মালদহে। ২৪ ঘন্টায় মালদহে ৪৭ জন করোনা সংক্রমিত বলে রিপোর্ট। এরমধ্যে মালদা শহরে একাধিক করো’না আ’ক্রান্ত। জেলায় করো’না আ’ক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচশো ছুঁইছুঁই। আচমকাই মালদহ শহরের ফোয়ারা মোড়ে একটি খাবারের দোকানকে ঘিরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। রাস্তায় তখন উপচে পড়া ভিড়। এলাকার সমস্ত দোকানে অবাধে চলছে কেনা-বেচা। তড়িঘড়ি সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পথ চলতি মানুষকে। ওই মুড়ি বিক্রেতা যে করো’না আ’ক্রান্ত, তা আর বুঝে যান সকলেই। এরপর পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে ওই মুড়ি বিক্রেতাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কো’ভি’ড হাসপাতালে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.