করোনার কারণে পৃথিবী থেকে গণতন্ত্র হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর সরকারকে স্বৈরাচারী করে তুলেছে। তাদের এই আচরণ ক্রমাগত হুমকিতে ফেলছে গণতন্ত্রকে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন শতাধিক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, নোবেল বিজয়ী ও আইনপ্রণেতা। গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে। এরপর থেকে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সারা বিশ্বে। ইউরোপের পর এশিয়া, আমেরিকা এবং বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোতে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। সংক্রমণ বিস্তার রোধে লকডাউন ও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে নাগরিকদের স্বাধীন চলাচল, বাকস্বাধীনতা, জনসমাবেশ ও অন্যান্য নাগরিক অধিকার সীমিত হয়ে গেছে।

স্টকহোম ভিত্তিক ইনিস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিসটেন্সের (আইডিইএ) খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এটা বিস্ময়ের নয় যে, স্বৈরাচারী শাসকরা সংকটকে তাদের সমালোচককে চুপ রাখতে এবং তাদের রাজনৈতিক মুষ্টিকে আরও মজবুত করতে ব্যবহার করছে।’ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ৫০০ ব্যক্তি, যাদের মধ্যে ৬০ জনেরও বেশি প্রাক্তন নেতা রয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ‘এমনকি গণতান্ত্রিকভাবে কিছু নির্বাচিত সরকারও জরুরি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যা মানবাধিকারকে সীমিত করছে এবং আইনি বাধ্যকতা বা পার্লামেন্টের নিরীক্ষা ছাড়াই তারা রাষ্ট্রীয় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।’ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নন-প্রফিট ল জানিয়েছে, ৮০টিরও বেশি রাষ্ট্র জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে কারফিউ জারি এবং যারা অতিরিক্ত নজরদারি ভঙ্গ করেছে তাদের জরিমানা, সেন্সরশিপ আরোপ এবং নির্বাহি ক্ষমতা বৃদ্ধি।

আইডিএ’র মহাসচিব ও কোস্টারিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন কাসাস-জামোরা জানিয়েছেন, যেসব দেশে কর্তৃত্বমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিংবা দায়বদ্ধতা কমেছে সেগুলো হচ্ছে ফিলিপিন্স, হাঙ্গেরি, এল সালভেদর ও তুরস্ক। তিনি বলেন, ‘জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের আইনি কারণ রয়েছে। তবে এটা সবসময় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যখন একটি সরকার জরুরি ক্ষমতাকে স্বাধীন গণমাধ্যম ও অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো খর্ব করতে ব্যবহার করে।’
Blogger দ্বারা পরিচালিত.