চিনা যুদ্ধবিমান ধ্বংসে লাদাখে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছে ভারত!


Odd বাংলা ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনার লাদাখে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সীমান্তে উভয় পক্ষ শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। এবার লাদাখের পূর্বাংশে যুদ্ধবিমান প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা করেছে ভারত। গালওয়ান উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে আকাশপথে চীনের সম্ভাব্য যে কোনো হামলা রুখতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সরকারি ভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু না বললেও, সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। প্রসঙ্গত, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এরই মধ্যেই শক্তি বাড়িয়েছে চীন। সুখোই-৩০ এর মতো যুদ্ধবিমান এলএসি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে দেখা গেছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। 

ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান লে-শ্রীনগরে বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের পর পরই গালওয়ান উপত্যকার আকাশে ভারতীয় যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। বিমান বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তায় সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফরওয়ার্ড বিমান ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানা গেছে। আকাশপথে তৎপরতা দেখাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে চিনুক কার্গো, অ্যাপাচি, পি-৮ সার্ভেইলেন্স এয়ারক্র্যাফ্টের মতো একাধিক সামরিক হেলিকপ্টার। গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই ওই এলাকায় বেশি বাহিনী, সরঞ্জাম ও রসদ পাঠাতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। এমনকী বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাকটিক্যাল এয়ারলিফ্টার বিমান সি-১৩০ জে হারকিউলিকেও লাদাখের আকাশে দেখা গেছে। দৌলত বেগ ওল্ডির বিমানঘাঁটিতে নেমেই আবার তা উড়ে চলে গেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থলসেনা মোতায়েনের পাশাপাশি এবার এয়ার ডমিন্যান্স শুরু করেছে ভারত। অর্থাৎ, প্রতিপক্ষের দিক থেকে কোনো আগ্রাসনের চেষ্টা হলেই আকাশপথে জবাব দেওয়া হবে। যদি চীনের তরফে পাল্টা বিমান হামলার চেষ্টা হয়, তা রুখতেই এই বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হচ্ছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.