সুশান্তের ঘরের তালা ভাঙতে আসা চাবিওয়ালা করলেন এক বিস্ফোরক দাবি, ঠিক কী হয়েছিল ১৪ জুন, জেনে নিন


Odd বাংলা ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দিন অর্থাৎ গত ১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার আবাসনে তাঁর নিজের ঘরটি ভেতর থেকে তালাবন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। আর সেই জন্য সেদিন বাড়িতে এক চাবিওয়ালাকে ডাকা হয়েছিল, যিনি এসো তাঁর শোওয়ার ঘরের তালা ভাঙেন। ঠিক কী হয়েছিল সেই সময়ে, সবটা জানালেন সেই চাবিওয়ালা। 

সুশান্তের ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকার কারণেই চাবিওয়ালাকে ডেকেছিলেন সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি। চাবিওয়ালা জানান গত ১৪ জুন তাঁর কাছে একটা ফোন আসে, তবে তিনি সেই সময় ডানতেন না যে কে ফোন করেছিলেন বা এও জানতেন না যে, সেটা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি। পরে টেলিভিশনে খবর সম্প্রচার হতে দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে সেদিন সিদ্ধার্থ পিঠানিই তাঁকে ফোন করেছিলেন এবং তাঁকে বলা হয়েছিল যে, তালা ভাঙার সময় যদি যরের ভেতর থেকে কোনও শব্দ আসে তাহলে তিনি যেন তৎক্ষণাত কাজ বন্ধ করে দেন। 
তিনি আরও বলেন, তালা ভাঙার জন্য সিদ্ধার্থ পিঠানি তাঁকে ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন এবং তালা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে ওই চাবিওয়ালা বলেন, 'আমি গত ১৪ জুন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে একটা ফোন পাই, সিদ্ধার্থ পিঠানি আমাকে ফোন করেছিলেন এবং আমি তাঁকে লকটির ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলেছিলাম। তিনি ছবি পাঠানোর পরে আমি ওই বাড়ি ছ'তলায় যাই। আমি আমার সরঞ্জামগুলি দিয়ে দরজাটি যখন খোলার চেষ্টা করছিলাম, তখন তিনি তাঁরা আমাকে লকটি ভেঙে ফেলতে বলেন।' তিনি আরও বলেন, সিদ্ধার্থ পিঠানি তাঁকে বলেছিলেন, ঘরের মধ্যে থেকে কোনও শব্দ এলেই কাজ বন্ধ করে দিতে। লকটি একটি কম্পিউটারাইজড লক ছিল তাই হাতুড়ি দিয়ে সেটা তিনি ভেঙে ফেলেন। এরপরে তাঁকতে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং চলে যেতে বলা হয়। 

চাবিওয়ালা আরও বলেন, লক ভাঙার পর তাঁকে ওই ঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং তাঁকে কাজ হয়ে যেতেই সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে তদন্ত সংস্থা থেকে এখনও তিনি কোনও ফোন পাননি, তবে তাঁকে তলব করা হলে তিনি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করবেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.