ভাইয়ের হাতের রাখিকেই করেছেন পেট চালানোর সম্বল, কচুরিপানা দিয়ে রাখি তৈরি করছেন এই গ্রামের মহিলারা



Odd বাংলা ডেস্ক: আনলক পর্বে নদীয়ার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা কচুরিপানা দিয়ে রাখি তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছে।পরিবেশ বান্ধব এই রাখি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাড়ি দিতে শুরু করেছে।রাখি পূর্ণিমার প্রাক্কালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা কাজ পেয়ে খুশি হয়েছে। 

এর বাজারে চাহিদাও রয়েছে বলে নদীয়ার চন্দননগর কো-অপারেটিভ সোসাইটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা জানিয়েছেন।আপাতত ওই অঞ্চলের বারোটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। সম্প্রীতির বন্ধন হলো রাখি। একসময় রাখি শুধু তাগা হিসেবে প্রচলন ছিল। 

এরপর সময়ের সাথে সাথে রাখির ও হয়েছে প্রকারভেদ। কেউ ফুল দিয়ে, কেউ অন্য কোন জিনিস দিয়ে রাখিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। কিন্তু এবার এক অভিনব উপায় কচুরিপানা দিয়ে রাখি বানিয়ে তাক লাগালো এখানকার মেয়েরা ।

মাজদিয়া ইকো ক্রাফটের সভাপতি স্বপন কুমার ভৌমিক জানান, “কচুরিপানা যেটা আমাদের গ্রাম অঞ্চলে জঞ্জাল হিসেবে পরিচিত সেই কচুরিপানা দিয়ে এর আগেও আমরা বহু কাজ করেছি। এবারে আগামী রাখি পূর্ণিমা কে সামনে রেখে আমরা রাখি তৈরি করলাম এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা সহ নদীয়াতে ও আমরা এই রাখি চালু করলাম। 

এই লকডাউনে কাজ দেওয়া সম্ভব হয়নি তাই সবাইকে নিয়ে এই কর্মযজ্ঞ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১৪০ জন মেয়েদের মধ্যে মাত্র ৯ জন মেয়েদেরকে নিয়ে আমরা এই কাজ করেছি। বাজারে অন্যান্য রাখির মতই মানুষ এই রাখিকে ও খুঁজে নেবে আমার বিশ্বাস। 

৫ টাকা থেকে কুড়ি টাকা পর্যন্ত এই রাখির দাম আমরা ঠিক করেছি। যাতে এই লক ডাউনের বাজারে কোন ভাই বা বোন তার প্রিয়জনকে এই রাখির ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত করতে না পারে তাই আমাদের এই ক্ষুদ্রতম প্রয়াস।”
Blogger দ্বারা পরিচালিত.