জন্মাষ্টমীর দিনে গীতা পাঠ বা শ্রবণে মেলে মহাফল


Odd বাংলা ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত বাণীই হচ্ছে গীতা। এক মনে গীতার বিশেষ কয়েকটি অধ্যায় পাঠ করলে মন অনেক উপরে উঠে যায় এবং আত্মার আনন্দময় সান্নিধ্য লাভ করে। এর ফলে আমরা সমস্ত অস্তিত্বের মধ্যে শান্ত, সংযত ও তেজস্বিতা লাভ করি। 

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন, অহঙ্কার দ্বারা যার চিত্ত বিমূঢ় হয়েছে সে ‘আমি কর্তা’ এরূপ মনে করে। আর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের বলেছিলেন, আমি ও আমার এই অহংজ্ঞান যায় না, যতক্ষণ না আত্মার সাক্ষাৎকার হয়। জীবন রহস্যের এক মহান কাব্য কাহিনি ‘ভগবদগীতা’। জীবন বস্তুটি যে কী, সে কথা বোঝাবার জন্যে এই গ্রন্থে রয়েছে অপূর্ব বিশ্লেষণ। 

আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি এই জীবনকে স্বচ্ছ্ব সুন্দর গড়ে তোলার জন্য যে পন্থা পদ্ধতি ব্যক্ত করা হয়েছে তা যদি অনুসরণ করা যায় তাহলে জীবন হয়ে ওঠে স্বর্গের থেকেও সুন্দর। মহাভারতের শান্তিপর্বে শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন, যে আমার মুখ নিঃসৃত বাক্য স্মরণ করে বা অধ্যয়ন করে তাঁর সমস্ত অহঙ্কার দূর হয়। শ্রীমদভগবতে শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভাবের সময়ে কৃষ্ণের বাণী স্মরণ করার কথা বলা হয়েছে। এই ক্ষণে গীতা অধ্যয়ন করলে মানুষের বল বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়, শত্রু নাশ হয় এবং মানুষের আধ্যাত্মিক ও আত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে। মানুষের জীবনের শুদ্ধ উত্তরণই প্রধান কর্তব্য। সেই কর্তব্যকেই স্পষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে গীতা গ্রন্থে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.