১৩ বছরের বড় অমৃতাকে ভালবেসে বিয়ে, কিন্তু ছোট নবাব সইফের সঙ্গে ঠিক কী কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁর


Odd বাংলা ডেস্ক: বলিউডের অন্যম হার্টথ্রম অভিনেতা সইফ আলি খানের প্রেম জীবন বরাবরই একটা চর্চার বিষয় হয়ে থেকে এসেছে। একটা দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর প্রেম জীবন নিয়ে চর্চা হয়ে এসেছে। পতৌদির ছোট নবাব অবশ্য তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই স্পষ্ট কথা বলে এসেছেন। 

১৯৯০-এর দশকে সইফ যখন নিজের থেকে ১৩ বছরের বড় অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন, তখনও সেই বিয়ে নিয়ে কম চর্চা হয়নি। সইফ অভিনীত 'ইয়ে দিল্লাগি' ছবির ফটোশুট চলাকালীন দুজনের আলাপ-পরিচয় হয়। খুল অল্প সময়ের মধ্যেই একে অপরের কাছাকাছি চলে এসেছিলেন সইফ-অমৃতা। এরপর বিয়ে, সুখের সংসার... দুজনের দুই সন্তানও রয়েছে- সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খান। কিন্তু ২০০৪ সালে দুজনেই তাঁদের সম্পর্কে ইতি টানেন। 
বলাবাহুল্য, তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে কম কাটা-ছেঁড়া হয়নি, কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা, কোথায় সমস্যা হচ্ছিল, ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্ন সেইসময়ে উঠে এসেছিল। এমনকি এও শোনা গিয়েছিল রোসা কাটালানোর সঙ্গে সইফের ঘনিষ্ঠতার কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এরপর ২০০৫ সালে একটি সাক্ষাতকারে সইফ এইসমস্ত গুজব অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন, সইফে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি অমৃতার পরিবর্তীত আচরণের জন্য তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্কে তিক্ততা এসে গিয়েছিল। 

এখানেই শেষ নয়, অমৃতা সেইসময় সইফের মা শর্মিলা ঠাকুন এবং বোন সোহা আলি খানকি নিয়মিত নানা কারণে অপমান করত। সেইসঙ্গে অমৃতার আচরণ সইফকে এটা অনুভব করাতো যে, তিনি কতটা অপদার্থ এবং সবদিক থেকে অযোগ্য। শুধু তাই নয়, সইফ এও অভিযোগ করেছিলেন, দুজনের সেপারেশনের পর সইফকে তাঁর দুই সন্তানের সঙ্গে দেখাও করতে দিতেন না অমৃতা। সইফ একবার এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, 'আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের আলাদা পথে বেছে নিয়েছি। আমি আমার স্ত্রীরকে সম্মান করি। তবে কেন আমাকে ক্রমাগত মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, আমি কতটা খারাপ স্বামী ছিলাম এবং আমি কতটা বাজে বাবা। আমি আমার মানিব্যাগে আমার ছেলে ইব্রাহিমের ছবি রাখি। প্রতিবার যখন আমি ওকে দেখি, আমার কান্না পায়। আমি আমার মেয়ে সারাকে সব সময় মিস করি। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে আমার দেখা করার অনুমতি নেই। তাদের আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতে দেওয়া হয় না, আমার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয় না। কেন? কারণ, আমার জীবনে আমার জীবনে এক নতুন মানুষ এসেছেন, যিনি আমার সন্তানদের তাদের মায়ের বিরুদ্ধে প্রভাবিত করবেন। এটা ভ্রান্ত ধারণা, আর তা অমৃতাও ভাল করেই জানে। এখন আমার সন্তানরা অমৃতার আত্মীয়স্বজন এবং কাজের লোকেদের সান্নিধ্যে বেড়ে উঠছে, কারণ অমৃতা টিভি সিরিয়ালের কাজে ব্যস্ত। এর কি কোনও প্রয়োজন রয়েছে, যখন আমি আমার পরিবারের অবলম্বন হতে পারি।'
এইসমস্ত নানা জল্পনা কালের নিয়মে আজ অনেকটাই থিতু হয়েছে। আজ ছোট নবাবের বেগম করিনা কাপুর খান। সারা এবং ইব্রাহিম বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অমৃতা এবং সইফের সম্পর্কের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সারা এবং ইব্রাহিম দুজনেই এখন সইফ আলি খানের বাড়িতে আসেন। করিনার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কও খুব ভাল। সেইসঙ্গে সইফ-করিনার সন্তান তৈমুরের সঙ্গেও তাঁদের বেশ ভাল বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। তাঁদের সবাইকে একসঙ্গে পারিবারিক অনুষ্ঠানের অংশ নিতেও দেখা গিয়েছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.