'যৌনতা পুরুষের প্রাথমিক চাহিদা,বেকারত্বই ধর্ষণের কারণ', ধর্ষণ বৃদ্ধির এমনই ব্যাখ্যা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি

Odd বাংলা ডেস্ক: বছর ২০-র এক দলিত তরুণীকে নৃশংস অত্যাচার এবং গণধর্ষণ করে খুন করেছেন সমাজের তথাকথিত চার উচ্চবর্ণের মানুষ। শুধু তাই নয়, মেয়েটির মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ির লোককে শেষ দেখা দেখারও সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় সারা দেশবাসী যখন নিন্দার ঝড় তুলেছেন, তখন ধর্ষণের প্রবণতা বৃদ্ধির এক আজব ব্যাখ্যা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কান্ডে কাটজু। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কাটজু লিখেছেন, দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্বই ধর্ষণের প্রবণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বিষয়টিকে ব্যখ্যা করে তিনি লিখেছেন, 'যৌনতা পুরুষের প্রাকৃতিক তাগিদ। ভারতের মতো দেশে পুরুষরা সাধারণত বিবাহের মধ্যে দিয়ে এই এই তাগিদ নিবারণ করেন। কিন্তু বাড়তে থাকা বেকারত্বের হারের জন্যই পুরুষরা বিয়ে করতে পারছেন না, ফলে তাঁরা যৌনতা থেকে বঞ্চিত থাকছেন। আর তাঁরা এমন একটা বয়সে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে যেখানে যৌনতা স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন। আর সেই কারণেই তাঁরা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হচ্ছেন।'

আরও পড়ুন- হাথরাসে নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা, তার আগেই জারি ১৪৪ ধারা! 

তিনি আরও লেখেন 'আমি আবারও পরিষ্কার বলছি যে, আমি ধর্ষণকে কখনওই ন্যায়সঙ্গত বলছি না, বরং এর নিন্দা করছি। তবে দেশের  পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলছি, এ প্রবণতা বাড়তে বাধ্য। সুতরাং আমরা যদি সত্যিই ধর্ষণের অবসান বা এটি হ্রাস করতে চাই তবে আমাদের ভারতে এমন একটি সামাজিক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যেখানে কোনও  বেকারত্ব থাকবে না।'

বাড়তে থাকা ধর্ষণের প্রবণতার নেপথ্যের এমন এক যুক্তি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত ট্রোল হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর মতো একজন বিচক্ষণ মানুষের এমন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় তুলেছে নেটিজেন। অনেকের দাবি, বিষয়টিকে তিনি এমনভাবে উপস্থাপনা করেছেন, যাতে মনে হচ্ছে ধর্ষণকে তিনি ন্যায়সঙ্গত মনে করছেন! তাঁর এই পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ধরণের পোস্ট করা হয়েছে, দেখে নিন সেগুলি-

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.