কলকাতার বুকেই তৈরি হয় ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকা! জানুন সেই ইতিহাস

Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস যেমন রয়েছে। তেমনই রয়েছে জাতীয় পতাকার বহু ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কলকাতা। হ্যাঁ, এই বাংলারই প্রাণকেন্দ্র। 
সালটা ১৯০৫। গোটা দেশ তখন পরাধীনতার গ্রাসে। শুরু হল স্বদেশী আন্দোলন, নাম বঙ্গভঙ্গ। গোটা বাঙালি ফেটে পড়ল সেই আন্দোলনে। 

কলকাতার অনুশীলন, যুগান্তর দলের ভেতর থেকেই আওয়াজ উঠল, তৈরি করা হোক জাতীয় পতাকা। 
সঙ্গে সঙ্গে কাজও শুরু হল। অরবিন্দ ঘোষ উদ্যোগ নিলেন। ডিজাইনের দায়িত্ব নিলেন শচীন্দ্র প্রসাদ বসু। এই পুরো কাজটাই হচ্ছিল কলকাতার পার্সিবাগান অঞ্চলে। শেষ পর্যন্ত তৈরি হল পতাকা। 
সবার সামনে তখন জ্বলন্ত উদাহরণ ফরাসি বিপ্লব। সেই ফ্রান্সের পতাকার অনুসরণেই ত্রিবর্ণরঞ্জিত করা হল। 

ঠিক কী রং ছিল পতাকার, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। অনেকে বলেন একদম ওপরে ছিল সবুজ, তারপর হলুদ আর নিচে লাল (মতান্তরে কমলা)। ওপরে আটটি পদ্মফুল, আর নিচের লাল অংশের একদিকে সূর্য; অন্যদিকে একফালি চাঁদ। সব ধর্মের মিলন বোঝাতেই এই চিহ্নগুলো ব্যবহৃত হয়েছিল। আর মাঝের হলুদ অংশে, দেবনাগরী হরফে লেখা ‘বন্দে মাতরম’। 

১৯০৬ সালের ৭ অগাস্ট, পার্সিবাগান অঞ্চলেই গ্রিয়ার পার্কে প্রথমবার এই পতাকা উত্তোলন হয়। পতাকাটির নামই হয়ে যায় ‘দ্য ক্যালকাটা ফ্ল্যাগ’। এটিই প্রথম জাতীয় পতাকা।  
কালে কালে আরও নানা রূপ বদলে আজকের গেরুয়া-সাদা-সবুজে এসে দাঁড়ায় ভারতের জাতীয় পতাকা। আর এই কাহিনির শুরুটা হয়েছিল শহর কলকাতার বুকেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.