রবি ঠাকুর করেছিলেন প্ল্যানচেট, এসেছিলেন সুকুমার রায়

Odd বাংলা ডেস্ক: আজকের জগতে বুদ্ধিজীবী মানেই সমস্ত অলৌকিকতার উর্ধ্বে। তাঁরা ভূত-প্রেত, আত্মা-দেবতা কিছুই মানে না। কিন্তু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একদম আলাদা। অলৌকিক বিষয়ের প্রতি তাঁর আবেগ ছিল, আকর্ষণ ছিল। রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝেই প্ল্যানচেট করতেন। ডাকতেন তাঁর মৃত প্রিয় মানুষদের। এবং খুব ভালো সাড়াও পেতেন  তিনি।কবির ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছিলেন তাঁর প্রায় সমস্ত প্রয়াত আত্মীয় ও বন্ধুরা। সেই তালিকা যথেষ্ট লম্বা। তালিকায় রয়েছে মেজদা সত্যেন্দ্রনাথ, নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, পত্নী মৃণালিনী দেবী, বড় মেয়ে মাধুরীলতা, ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ, প্রিয় ভাইপো বলেন্দ্রনাথ , হিতেন্দ্রনাথ। তাঁর কাছের মানুষ সুকুমার রায়, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, অজিত চক্রবর্তী, সন্তোষ মজুমদার, সতীশ রায় প্রমুখ ভক্তবৃন্দও তাঁর কাছে এসেছিলেন পরলোক থেকে৷

বারে বারে ডাকা সত্ত্বেও কখনোই আসেননি যারা তাঁরা হলেন রবীন্দ্রনাথের বাবামশায় মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মা সারদা দেবী, বড় দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ও মেজ মেয়ে রেণুকা৷ যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা খোলাখুলি কবির প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। এমনকী, ব্যক্তিগত ইচ্ছার কথাও বলেছেন৷ যেমন, সুকুমার রায় তাঁর একমাত্র পুত্র সত্যজিৎ রায়কে শান্তিনিকেতনে রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন৷ সেই কথা কবি রেখেওছিলেন। তাঁর প্ল্যানচেট বোর্ডে সেদিন লেখা উঠেছিল সত্যজিতকে তোমার কাছে রেখো। সেই মতো  সত্যজিৎ রায়ের বড় হয়ে ওঠা শান্তিনিকেতনের গুরুদেবের আশ্রমেই। প্ল্যানচেটে ডেকেই স্ত্রী মৃণালিনীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন ছেলে রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে বালবিধবা প্রতিমাদেবীর বিয়ের নিয়ে৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.