এমন মানুষও হয়! কেউ খাচ্ছেন আস্ত সাইকেল, কেউ বা না ঘুমিয়ে ৪৬ বছর

Odd বাংলা ডেস্ক: আজব ঘটনার কথা তো কতই শোনা যায়। তবে জানেন কি, আস্ত একটা সাইকেল খেয়েও কেউ দিব্যি সুস্থ রয়েছেন! আবার দু’চোখের পাতা এক না করেও কেউ কাটিয়ে দিয়েছেন ৪৬ বছর। এমন অবিশ্বাস্য কাণ্ডকারখানা নিয়ে ডেইলি বাংলাদেশ-এর আজকের আয়োজন।

তাই এনগকের নাম বোধহয় অনেকেই শোনেননি। ৪৬ বছর ধরে না-ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন এনগক। ভিয়েতনামের ৭৭ বছরের এই বৃদ্ধ নাকি ১৯৭৩-র পর থেকে আর ঘুমোননি। আর এমনটাই দাবি করেছে দেশটির সংবাদ সংস্থা তানহ নিয়েন। তবে এত বছর ধরে দু’চোখের পাতা এক না কররেও দিব্যি সুস্থ রয়েছেন এনগক।

বেঁচে থেকেও মৃত। খানিকটা এমনই হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের লালবিহারীর সঙ্গে। ঋণের আবেদন করার সময় বিষয়টা নজরে আসে। ১৯৭৬ সাল থেকে রাজস্ব বিভাগের রেকর্ডে তার স্টেটাস ছিল ‘মৃত’। দীর্ঘ ১৯ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর সরকারিভাবে ফের ‘বেঁচে’ ওঠেন লালবিহারী। মামলা জিতে প্রমাণ করেন, তিনি জীবিত।

স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘দ্য টার্মিনাল’ ছবিটার কথা মনে আছে? রাতারাতি দেশহীন হয়ে নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে ‘বন্দি’ হয়ে পড়েছিলেন ভিক্টর নাভরোস্কি। আর ঠিক এমনই ঘটেছিল ইরানের শরণার্থী মেহরান করিমি নাসেরির সঙ্গে। কাগজে-কলমে অবৈধ হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে ছিলেন প্যারিসের বিমানবন্দরে। স্পিলবার্গের ফিল্মটি ওই ঘটনার ছায়ায় তৈরি।

রেস্তরাঁয় গেলেই খাবারদাবারের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়া এমনটা তো অনেকেই করেন। তবে জাপানের ইয়োশইরো নাকামাৎসু এমনটাই করছেন গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। যে খাবারই খান না কেন, তার ছবি তুলে রাখেন। আর সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্য নয়, বরং খাবারের অ্যানালিসিস করার জন্যই নাকি এমন অভ্যাস নাকামাৎসুর!

পান থেকে চুন খসলেই অনেকেই আইন-আদালতের ভয় দেখান। তবে আমেরিকার টিমোথি দামোশেল কবেই আপনাদের ছাপিয়ে গিয়েছেন। ২০১৪ সালে কেবল টিভি সংস্থাকে আদালতে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন টিমোথি। তার অভিযোগ, টিভির সামনে সারাক্ষণ বসে থাকায় স্ত্রীর ওজন বেড়ে গিয়েছে। আর এর জন্য দায়ী টিভি সংস্থাই!

মিশেল লোলিতো খেতে খুব ভালবাসতেন। তবে আমার-আপনার মতো খাবার নয়। ফ্রান্সের এই নাগরিক চেখে দেখেছেন রাবার, কাচ, ধাতব পদার্থও। ছোটখাটো গাড়ি, সাইকেল থেকে শুরু করে এক বার আস্ত একটা বিমানও খেয়ে ফেলেছিলেন। আর এমনটাই দাবি করেছেন স্বয়ং মিশেল। এত কিছুর পরেও ৫৭ বছর বয়স পর্যন্ত কোন শারীরিক কোন সমস্যা ছাড়াই বেঁচে ছিলেন। পরে ২০০৭ সালে মারা যান।

সারা মুখ জুড়েই গজিয়েছে চুল। থাইল্যান্ডের মেয়ে সুপত্রা সাসুফানের এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা সময় খুব ছড়িয়েছিল। অ্যামব্রাস সিনড্রোমের কারণেই এমনটা হয়েছে সুপত্রার। ২০১০ সালে ‘ওয়ার্ল্ডস হেয়ারিয়েস্ট গার্ল’ নামে গিনেস রেকর্ড করেন তিনি।

ছোট থেকেই সঞ্জু ভগতের পেটটা অনেকটা বাইরে ঝুলে থাকত। অনেকেই তাকে অন্তঃসত্ত্বা বলেও খ্যাপাতেন। ৩৬ বছর বয়সে শ্বাসের সমস্যা শুরু হওয়ায় মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন সঞ্জু। চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন তার পেটে টিউমার হয়েছে। তবে অস্ত্রোপচারের সময় দেখা যায়, তারই যমজ ভাইয়ের ভ্রূণ রয়েছে তার শরীরে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.