প্রশিক্ষণ নেই, টিকা দিয়ে বিতর্কে ডেপুটি মেয়র

Odd বাংলা ডেস্ক: যৌনকর্মীদের ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে বিতর্কের মুখে আসানসোলের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তবসুম আরা।নিয়ম নীতিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই স্থানীয়দের টিকা দিয়েছেন তিনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে ডাক্তার, নার্স সকলের উপস্থিতিতে কেন এই কাজ করলেন পুরসভার এই প্রাক্তন কর্মকর্তা ? যা  নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

শনিবার আসানসোল কর্পোরেশনের উদ্যোগে কুলটির লছিপুর অঞ্চলের নিষিদ্ধপল্লীতে যৌনকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়।এই ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পৌরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যা তবসুম আরা ,কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দীপক গাঙ্গুলি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নার্স, ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরাও। যা মূলত প্রশ্নের জায়গা তৈরি করেছে। শনিবার এই ভ্যাকসিন কর্মসূচীতে প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রকে দেখা যায় ইঞ্জেকশান হাতে। কার্যত  নার্সের হাত থেকে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ নিয়ে এক মহিলাকে  কোভিড টিকা দিতে যান তবসুম। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।প্রশ্ন উঠতে শুরু করে একজন চিকিৎসাকর্মী না হওয়া সত্ত্বেও কি ভাবে কাউকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়? ফলে প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের কার্যকলাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে নার্সদের অসচেতনা নিয়েও  উঠছে প্রশ্ন।   

এই প্রশ্নের উত্তরে আসানসোল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দীপক গাঙ্গুলী বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করবো না,কিন্তু টিকা স্বাস্থ্যকর্মীকেই দেওয়া উচিৎ’ ।আবার অন্যদিকে পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অমারনাথ চ্যাটার্জী বলেন,  ‘এই কাজ যদি উনি করে থাকেন তবে নিজের দায়িত্বে করেছেন।তবে ওনার এভাবে টিকা দেওয়া উচিৎ নয়’। এই ঘটনাটিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তবসুম আরা । তিনি জানান , ‘আমি ইঞ্জেকশন দিইনি,কেবল হাতে ধরেছিলাম মাত্র। যা শুধুমাত্র মানুষকে সচেতন করার জন্যই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.