বাইজেন্টাইন আমলের মোজাইকের সৌন্দর্য ছাপিয়ে গেছে আধুনিক যুগকেও

Odd বাংলা ডেস্ক: তুর্কির কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে এক প্রাচীন নগরীর সন্ধান পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা।  ২০০৭ সালে প্রাচীন নগরীটি আবিষ্কারের জন্য খনন শুরু করেন। ২০১৩ সালে এখানে একটি মোজাইকের ভগ্নাংশ খুঁজে পান তারা। সেটি ছিল যিশুখ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধ একটি চিত্র। এছাড়াও পাওয়া যায় আরো বেশ কিছু মোজাইক এবং সমাধি। যেগুলো সপ্তম শতাব্দীর বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।

খননকারী দল মিমার সিনান চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইতিহাস বিভাগের একাডেমিক অধ্যাপক গুলগান করোগলুর সভাপতিত্বে মোজাইক আবিষ্কারের জন্য কাজ করছে। বছর দুই আগে প্রত্নতত্ববিদগণ একটি গ্রিক নগরীর সন্ধান পেয়েছেন। জিউগমা নামে নগরীটির অস্তিত্ব ছিল দুই থেকে আড়াই হাজার বছর আগে। নগরীটি এখন পড়েছে তুরস্কের গাজিয়ানটপ প্রদেশে। 

২০২০ সালের মার্চে তিনটি প্রাচীন মোজাইক খুঁজে পান। কার্বন পরীক্ষায় জানা যায়, মোজাইকের বয়স দুইহাজার তিনশ বছর। দুইহাজার তিনশ বছর আগেও মোজাইক শিল্প এতো উন্নত ছিল ভাবাই যায় না। বরং সেই মোজাইক দেখতে আধুনিককালের মোজাইক থেকেও অবিশ্বাস্য রকমের সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন। 

এখনো এই মোজাইক নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। যা থেকে জানা যাবে কবে এবং কারা তৈরি করেছিল এগুলো। কারাই বা ব্যবহার করতেন এসব। সব কিছু শেষে এই এলাকাটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। 

ধারণা করা হয়, এই মোজাইকগুলো বাইজেন্টাইন আমলের প্রথম দিকের 'মোজাইক সমাধি'। এই মোজাইকগুলো সমাধির উপর পাওয়া যায়। যা সেই সময়ের ধনী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। 

এই বছর, প্রথমবারের মতো, তুর্কি ঐতিহাসিক সোসাইটি এবং সিনোপ পৌরসভা খননকে সমর্থন করেছে উল্লেখ করে, করোগলু বলেন, কাজটি খুব ভালোভাবে চলছে এবং এই সময়ের মধ্যে খনন প্রায় শেষ, এবং এখন পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।

অধ্যাপক আরো বলেন, তিনি জর্ডান এবং সিরিয়ায় এই ধরনের কাঠামো এবং মোজাইক খুঁজে পেয়েছিলেন। তবে তুরস্কে এটি প্রথমবার পাওয়া গেল। তুরস্কে সমাধিতে মোজাইক করার রীতি যে বহু পুরনো তার প্রমাণ মেলে এই আবিস্কারে।   

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.