১৬ বছর থেকে শুরু, শরীরে আর ট্যাটু করার জায়গাই খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি

Odd বাংলা ডেস্ক: কথায় আছে, শখের তোলা আশি টাকা। আসলেও আমরা বুঝি তাই। সাধারণ মানুষদের স্বপ্ন আর শখ সবই হয়ে থাকে সাধারণ। আর অসাধারণ মানুষদের শখগুলোও যেন তাদের মতো। ঠিক যেমন দিল্লির একজন ব্যক্তি। নিজের দেহের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে ট্যাটু করাননি এই যুবক। কি অবাক হচ্ছেন বুঝি? শুনে অবাস্তব মনে হলেও এটাই সত্যি।

করণ সিধু নামে দিল্লির এক যুবক দেহের সমস্ত অংশে ট্যাটু করিয়েছেন

করণ সিধু নামে দিল্লির এক যুবক দেহের সমস্ত অংশে ট্যাটু করিয়েছেন

করণ সিধু নামে দিল্লির এক যুবক দেহের সমস্ত অংশে ট্যাটু করিয়েছেন। ট্যাটুই তার একমাত্র বিষয় নয়, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বডিবিল্ডিংও করেন। আস্তে আস্তে শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে খুব ভালো একজন বডিবিল্ডার হিসেবে তৈরি করেছেন তিনি। ট্যাটুর কারণে তিনি 'ট্যাটুগ্রাফর করণ' নামেও পরিচিত। মানুষ তার শখ পূরণের জন্য সবকিছু করতে পারে। এমনকি অর্থ ব্যয় নিয়েও চিন্তা করে না। এমনই যুবক হলেন দিল্লির করণ। ট্যাটু গ্রাফার করণ ১৬ বছর বয়সে প্রথম ট্যাটু করান বলে জানান তিনি। তারপর থেকে আস্তে আস্তে তিনি হয়ে উঠেন সবার কাছে ট্যাটু আর্টিস্ট। পাশাপাশি নিজের শরীরেও করতে থাকেন ট্যাটু। দেহের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ট্যাটু করেননি তিনি।

নিজের সব দাঁত বদলে ধাতুর দাঁতও লাগিয়েছেন করণ

নিজের সব দাঁত বদলে ধাতুর দাঁতও লাগিয়েছেন করণ

এমনকি চোখেও করিয়েছেন ট্যাটু। ট্যাটুর পাশাপাশি কান এবং জিভে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। নিজের সব দাঁত বদলে ধাতুর দাঁতও লাগিয়েছেন করণ। সারা শরীর জুড়ে খালি ট্যাটুর খেলা। শরীরে সুঁই ফোটালেও এই সাহসী যুবকের কিছু মনে হয় না। করণ জানান, অনেক বার ট্যাটু করার সময় প্রায় জ্ঞান হারিয়েছিলেন তিনি। এমনকি কয়েকটি অস্ত্রোপচারের সময় প্রাণের ঝুঁকিও দেখা দিয়েছিল তার। একদিকে ট্যাটু অন্যদিকে বডিবিল্ডিং, বলতে গেলে দুটোই একসঙ্গে  সমানভাবে পারদর্শিতার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ট্যাটুর পাশাপাশি কানে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি

ট্যাটুর পাশাপাশি কানে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি

এই কাজে অবশ্য করণের পাশে থেকেছেন তার বাবা-মা এবং তার পরিবার। করণের বাবা তার ছেলের এই সাহসিকতার পর নিজের শরীরেও বেশকিছু ট্যাটু করিয়েছেন। পেশায় করনের বাবা একজন ফটোগ্রাফার। করণের বাবা জানান, যখন করণ তার চোখে ট্যাটু করিয়েছিল সেই সময় দৃষ্টিশক্তি হারানোর একটা আশঙ্কা ছিল। তবে নিজের ছেলের দৃষ্টিশক্তি যদি হারিয়ে যেত তাহলেই নিজেই চক্ষুদান করতেন বলে জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.