কোভিডে মৃত ব্যক্তিকে পোড়ানোর পর তাঁর ছাইভস্ম দিয়ে তৈরি হচ্ছে পার্ক!

Odd বাংলা ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই দেশজুড়ে দেখা দিয়েছিল মৃত্যু মিছিল। শ্মাশানগুলিতে উপচে পড়ে ভিড়। হাজার হাজার লাশ পুড়ছে চিতায়।পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, দিন-রাত এক করে কেবল কোভিড মৃতদেহের সৎকার করে চলেছেন শ্মশানকর্মীরা। শ্মশানে জায়গা না পেয়ে, একাধিক জায়গায়, খালি মাঠ, নদীর ধারে, পার্কিং-এ অস্থায়ী শ্মশান বানানো হয়। ছাইয়ের চাদরে মুড়ে যায় শ্মশানের মাটি। পরিবার প্রিয়জনের শরীরের ছাইটুকু সংগ্রহ করতে পারেনি। এবার সেই ছাই দিয়ে শ্মশানের ভিতর পার্ক তৈরি করছে ভোপাল। 

ভোপালের বাধবাধা বিশ্রাম ঘাটে সেই ছাই জড়ো করে প্রায় ২১টি ট্রাক ভর্তি করে ছাই সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ছাই ফেলে পার্কের জমি মজবুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার স্কোয়ার ফুটের মধ্যে তৈরি হচ্ছে সেই পার্ক।কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? যে  ছাই স্তুপাকার হয়ে শ্মশানে রয়েছে, সেই ছাই কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে শুরুতে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু, যেখানেই ফেলা হোক না কে, তা পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে উঠবে। নর্মদা নদীতে ফেললে নোংরা হবে নদীর জল।পাশাপাশি কোথাও জমা হয়ে গেলে পলির সৃষ্টি হবে। নদীর গতিপথ ব্যহত হতে পারে। তাই জাপানের মিয়াওয়াকি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। 

শ্মশানঘাটের ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান মমতেশ শর্মা  জানিয়েছেন, ছাই ফেলার পর তাতে গোবর, কাঠের গুড়ো, বালি মিশিয়ে মাটি তৈরি করা হবে। এরপর তাতে প্রায় ৪ হাজারের বেশি গাছ লাগানো হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে আসা পরিবারদের জানান হয়েছে। তাঁরাও নিজের পরিবারের সদস্যের নামে গাছ লাগাতে পারেন। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা পার্কের গাছের দেখভাল করতে পারবেন। এতে তাঁদের একটা অনুভূতিও জড়িয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.