ডুবেছে রাস্তা, ঘুরপথে আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটা যেতে চরম ভোগান্তি

Odd বাংলা ডেস্ক: ভেঙে যাওয়া চর তোর্সা সেতুর ডাইভারশন জলে ডুবে যাওয়ায় আলিপুরদুয়ার জেলা সদর থেকে যাত্রীদের অনেকটা ঘুরপথে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি ও ঘোকসাডাঙা দিয়ে ফালাকাটা যেতে হচ্ছে। আর ঘুরপথে যাওয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যদিও বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলি অতিরিক্ত রাস্তার জন্য বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। 

এনবিএসটিসির নতুন চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা এখনও কেউ আমাকে জানাননি। আরটিওদের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। 

আলিপুরদুয়ার-ডুয়ার্স মোটর ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোপাল চক্রবর্তী বলেন, আমরা অতিরিক্ত রাস্তার জন্য বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি না। সরকার আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছে, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। তাছাড়া করোনার জন্য মাত্র ৫০ শতাংশ গাড়ি আমরা চালাচ্ছি। 

চর তোর্সা নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার ফালাকাটা ঢোকার মুখে ৩১ নম্বর জতীয় সড়কের পাশের ডাইভারশনটি ডুবে যায়। তাই শুক্রবার থেকে সোনাপুর-ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। আলিপুরদুয়ার থেকে সরকারি বেসরকারি বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন সোনাপুর দিয়ে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি ও ঘোকসাডাঙা হয়ে অতিরিক্ত ২৫ কিমি রাস্তা ঘুরে তবেই ফালাকাটা যাচ্ছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ফালাকাটা যেতে অতিরিক্ত এই রাস্তার জন্য যেমন তাঁদের সময়ের অপচয় হচ্ছে, তেমনই বাড়তি ১৫ টাকা ভাড়া গুণতে হচ্ছে। 

এনবিএসটিসির আলিপুরদুয়ার ডিপো থেকে প্রতিদিন বাসে চাপেন ওই রুটের যাত্রী অজয় রায় সরকার। তিনি বলেন, আমাকে রোজ ফালাকাটা যেতে হয়। কিন্তু, এখন বাড়তি রাস্তার জন্য যেমন অতিরিক্ত সময় নষ্ট হচ্ছে, সঙ্গে বেশি ভাড়াও গুণতে হচ্ছে।  

একই অভিযোগ অন্য নিত্যযাত্রীদেরও। আরএক নিত্যযাত্রীর কথায়, করোনার জন্য রাস্তায় এমনিতেই বেসরকারি বাস কম চলছে। তারজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারউপর অতিরিক্ত রাস্তা যেতে ও বাড়তি ভাড়ার জন্য আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।  

চারবছর আগে ফালাকাটার কালীকাপুরে চর তোর্সা সেতু জলের তোড়ে ভেসে যায়। সেই থেকে ভাঙা সেতুর পাশে অস্থায়ী ডাইভারশন দিয়ে এতদিন যানবাহন চলাচল করত। শুক্রবার সেই ডাইভারশনও জলে ডুবে যায়। ফলে সেদিন থেকে সোনাপুর-ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.