জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তা, পাহাড়ি নদী পার হওয়া নিয়ে সমস্যায় মানুষ

Odd বাংলা ডেস্ক: নদীর উপর তৈরি কজওয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। অথচ আজ, বুধবার নদীর ওপারে রায়মাটাং প্রাথমিক স্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসবে। সরকারি কর্মী বা সাধারণ মানুষের সেখানে যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই।  তাই সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মীদের শিবিরে যাওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগিতা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর রায়মাটাং নদীর উপর জেসিবি দিয়ে রাস্তা তৈরি করে ফেলল। 

কালচিনির সেন্ট্রাল ডুয়ার্সের রাঙামাটি হয়ে রায়মাটাং যেতে পড়ে রায়মাটাং নদী। পাহাড়ি খরস্রোতা এই নদী বর্ষার সময় ঘনঘন গতিপথ পাল্টায়। এই নদীর উপর তৈরি হয়েছিল কজওয়ে। পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে সেই কজওয়ের প্রায় ৫০০ মিটার অংশ জলের তোড়ে সম্প্রতি ভেসে গিয়েছে। এ জন্য রায়মাটাং, রায়মাটাং ডিপো, পোখরি ও আদমা গ্রাম কালচিনি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। নদীর ওপাড়ে থাকা গ্রামগুলির বাসিন্দারা কালচিনিতে আসতে পারছেন না। নদীতে জলের গভীরতা বেশি না থাকলেও তীব্র খরস্রোতার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে চারটি গ্রামের বাসিন্দারা নদী পার হতে সাহস পাচ্ছেন না। 

অথচ আজ নদীর ওপাড়েই রায়মাটাং প্রাথমিক স্কুলে ওই চারটি গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প আছে। কিন্তু, নদীর কজওয়ে ভেসে যাওয়ায় সরকারি কর্মীদের শিবিরে যাওয়ার ও বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মঙ্গলবার দিনভর জেসিবি লাগিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সহযোগিতায় ওই নদীতে রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। 

তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সভাপতি পাশাং লামা বলেন, নদী পার হওয়ার সমস্যার জেরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থমকে যাবে এটা হতে পারে না। তাছাড়া নদীর ওপাড়ে চারটি গ্রামের বাসিন্দারাও বাজারঘাট ও অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে কালচিনি যেতে পারছেন না। তাই রায়মাটাংয়ের ভাঙা কজওয়ের অংশে রাস্তা বানাতে দলের তরফে জেসিপি দিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা হয়েছে। কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, রায়মাটাং নদীর উপর তৈরি কজওয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ওই কজওয়ে তৈরির জন্য ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু, বর্ষার জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তাই স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে ভাঙা কজওয়ের অংশে রাস্তা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ কাজে কেউ সহযোগিতা করলে তো কোনও অসুবিধা নেই। রায়মাটাং নদীর ওপাড়ে চারটি গ্রামে প্রায় ১৩০০ বাসিন্দার বাস। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রায়মাটাং আলিপুরদুয়ার জেলার একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বনদপ্তরের গেস্ট হাউস আছে। বছরভর দেশ-বিদেশের পর্যটকরা রায়মাটাংয়ে বেড়াতে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা, রাজকুমারী থাপা, মারিয়া  মুণ্ডা, মন্দিরা থাপা বলেন, দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের জন্য প্রশাসন ও তৃণমূলের সহযোগিতায় রাতারাতি নদীর উপর রাস্তা তৈরি হওয়ায় আমরা উপকৃত হলাম।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.