করোনা মোকাবিলায় আশার আলো দেখাচ্ছে শুষ্ক অ্যান্টিভাইরাল পাউডার



Odd বাংলা ডেস্ক: মহামারী মোকাবিলায় জোরকদমে চলছে গবেষণা। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ফল বেরোচ্ছে। অতি সম্প্রতি এক উল্লেখযোগ্য ফলাফল হল অ্যান্টিভাইরাল পাউডার। একদল গবেষকের দাবি এই পাউডারের ব্যবহারের ফলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব। টামিবারোটেন ট্যাবলেটটি ব্যবহার হয় মূলত অ্যাক্যুরেট প্রোমাইলোসাইটিক লিউকোমিয়া রোগের চিকিৎসায়। বর্তমনে এটি জাপানে উৎপন্ন হয়। যদিও ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে এই ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আবার অন্তঃতন্ত্রে বিষাক্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়।বিপরীতে, পালমোনারি ডেলিভারি ফুসফুসের ঘনত্ব সর্বাধিক করে তুলতে পারে এবং সিস্টেমিক এক্সপোজারকে হ্রাস করে রোগ নির্মূলে সাহায্য করে। 


হংকং বিশ্ব বিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন সূত্র মেনে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে টামিবারোটেন পাউডারের আবিষ্কার করেছেন। এই শীতল স্প্রে অ্যারোসোল বৈশিষ্ট্যযুক্ত কণা তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে টামিবারোটেন পাউডারের অ্যান্টিভাইরাল অ্যাক্টিভিটি SARS-CoV-2, MERS-CoV এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা A H1N1 ভাইরাস নির্মূলের কার্যকর। প্রাণীদেহে প্রয়োগ করে ইতিবাচক ফল পেয়েছেন গবেষকরা। দেখা গেছে যে ইন্ট্রাট্রাকিয়াল প্রতিষেধকের দ্বারা সরবরাহ করা টামিবারোটেন পাউডারের একটি ডোজ ফুসফুসে SARS-CoV-2-কে লাঘব করে। এবং এই অ্যান্টিভাইরাল কার্যকারিতা ইন্ট্রাট্রাকিয়ালির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


টামিবারোটেন পাউডার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি MERS-CoV সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও কার্যকরী বলে দাবি করছেন গবেষকরা।টামিবারোটেনের ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে আশাব্যাঞ্জক ফল পেয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি এই পাউডারের রযেছে অ্যান্টি ইনফ্লুয়েঞ্জা শক্তি। রোগের কাঠিন্য বুঝে তার প্রয়োগ করা যেতে পারে। টামিবারোটেন পাউডার নিয়ে গবেষণা চলছে। ফলও মিলছে আশাজনক। কিন্তু তা বলে এই মুহূর্তে এই পাউডার বাজারে পাওয়া যাবে না। ফলে ইচ্ছে থাকলেও কোভিড 19 রোগ নির্মূলে এর প্রয়োগ সম্ভব নয়।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.