প্রথম দেখায় ফুল ভেবে ভুল করতে পারেন, আসলে এটি ‘ফুলরূপী পতঙ্গ’

Odd বাংলা ডেস্ক: প্রথম দেখায় হাতের রাখা কয়েকটা বর্ণিল ‘ফুলের’ সৌন্দর্যে মন ছুঁড়ে যেতে পারে আপনার। কিন্তু ‘ফুল’ টাকে উড়ে যেতে দেখলে অবাক হবেন বৈকি। কারণ ‘ফুল’টা আদতে ফুল নয়। ফুলরূপী পতঙ্গ অর্কিড ম্যান্টিস।

সামনাসামনি যদি এখনো অর্কিড ম্যান্টিস না দেখে থাকেন। তাহলে নিঃসন্দেহে প্রকৃতির এক অনিন্দ্য সুন্দর সৃষ্টি দেখা গেছে বঞ্চিত হয়েছেন। তিন অর্কিড ম্যান্টিসের মনমাতানো সৌন্দর্য নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আদ্রিয়ান কোজাকিউইচ এক ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রামে ওই ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে একজনের হাতের তালুতে তিনটি অর্কিড ম্যান্টিসকে হাঁটতে দেখা যায়। ওই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে ৫০ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। 

অর্কিড ম্যান্টিস দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রেইন ফরেস্টের এক বর্ণিল পতঙ্গ। অর্কিড ফুলের মতো দেহের বিচিত্র রঙের ছোঁয়া থাকায় এদের এমন নাম। তবে এদের রঙ ও গড়ন শুধু দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই নয়, অনিন্দ্য রঙ ও গড়নকে এরা অসাধারণ নৈপুণ্যের সঙ্গে খাদ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করে।


 


বর্ণিল অর্কিড ফুলের আদলে নিজেদের ছদ্মবেশ সৃষ্টিকে এরা নিয়ে গিয়েছে শিল্পের পর্যায়ে যেখানে কোনটি সত্যিকারের ফুল আর কোনটি ছদ্মবেশী পোকা, বোঝা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে। এরা সামনের কাঁটাযুক্ত দুই পা শিকার ধরতে এবং বাকি চার পা যে কোনো কাঠামো ধরে থাকতে ব্যবহার করে। এরা ফুলের মতো ছদ্মবেশ ধরে অর্কিড গাছের ডালে দুলতে থাকে যতক্ষণ না কোনো শিকারকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। আকারের দ্বিরুপতায় এরা অন্যতম। 

একটি পুরুষ ম্যান্টিস একটি স্ত্রী ম্যান্টিসের অর্ধেকেরও বেশি ছোট হতে পারে। এদের শরীরে অবস্থিত অর্ধ-স্বচ্ছ কোষগুলোই এদের অর্কিড ফুলের মতো ছদ্মবেশ ধারণে সাহার্য্য করে। সর্বোপরি সাদা ও গোলাপি আভায় রাঙা অর্কিড ম্যান্টিস প্রকৃতির এক সুন্দর সৃষ্টি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.