আফগান যুদ্ধে গিয়েছিলেন তিন ভাই, জীবিত ফিরে আসেন একজন

Odd বাংলা ডেস্ক: গৃহিনী মেরি ওয়াইজ ও চিকিৎসক জিন ওয়াইজ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় চার সন্তান। এদের মধ্যে তিন ছেলে জেরেমি ওয়াইজ, বেন ওয়াউজ ও বিউ ওয়াইজ মার্কিন সামরিক বাহিনীর হয়ে আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। একমাত্র মেয়ে হিদার ওয়াইজ, যিনি সামরিক বাহিনীতে যাননি। তবে যুদ্ধ থেকে জীবিত ফিরে আসতে পেরেছিলেন কেবল বিউ ওয়াইজ। বাকি দুই ভাই আফগান যুদ্ধে নিহত হন।
কাবুল দখল করে নিয়েছে তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে গোষ্ঠীটি। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুরো বিশ্ব। সবার আশঙ্কা, ২০ বছর পূর্বে দেশটিতে তালেবান শাসনের সময় নারীদের অধিকার যেভাবে ক্ষুন্ন হয়েছিল, সেই অবস্থা আবারও ফিরে আসতে পারে। আফগানিস্তান হয়তো ফের সন্ত্রাসের অভরায়ণ্য হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি তারা যে পার্শবর্তী দেশগুলোতে নিজেদের শাখা বিস্তার করবে না, সেই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

তালেবানের কাবুল দখল করার দৃশ্য ঘরে বসে টেলিভিশনে দেখেছেন ৩৭ বছর বয়সী বিউ ওয়াইজ। তিনি সাবেক মার্কিন মেরিন সার্জেন্ট। আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়ে জীবিত ফিরে এসেছেন। তিনি তালেবানের এ উত্থানকে চরম ভয়াবহতা বলে বর্ণনা করেছেন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিউ ওয়াইজ বলেন, পূর্বের থেকেও তালেবান এখন অধিক শক্তিশালী। টেলিভিশন দেখে আমি আতঙ্কিত, কেবল যা ঘটেছে তা নয় বরং আগামীর পরিস্থিতি নিয়েও। তবে ফলাফল যাই হোক না কেনো, আমি বিশ্বাস করি জেরেমি ও বেন আবারও একই কাজ (তালেবান প্রতিরোধ করা) করতেন, আমিও তাই। আমরা একে অপরের প্রতি কর্তব্য অনুভব করি।

সন্ত্রাসবাদের স্বর্গরাজ্য হওয়া থেকে আফগানিস্তান থেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন তারা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরেকটি আক্রমণ প্রতিরোধ এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে স্থিতিশীল করতে চাওয়াই তাদের উদ্দেশ ছিল, যোগ করেন তিনি।

‘তালেবানের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? তারা কেবল আফগানিস্তানে থেকে যাবে না। তরা ইয়েমেন, বাগদাদে যাবে। কে জানে?’

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন বেন ওয়াইজ। আর জেরেমি ওয়াইজ ছিলেন সাবেক মার্কিন নেভি সীলের সদস্য, যিনি পরবর্তীতে সিআইএ ঠিকাদার হন। আফগানিস্তানের দক্ষিণ -পূর্বাঞ্চলের একটি এজেন্সি ঘাঁটিতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত সাত কর্মীর একজন ছিলেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.