ঠিক ভাবে সিঁদুর না পরলে ঘোর অমঙ্গল হয় স্বামীর, কী বলছে হিন্দু শাস্ত্র…

Odd বাংলা ডেস্ক: আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের জীবন যেন ভালবাসায় পরিপূর্ণ থাকুক। আমাদের জীবনে যেন কোনো বাধা বিপত্তি না আসে। খুব সুন্দর ভাবে যেন কাটে আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত। আর এই ভালো থাকার জন্য আমরা বিশেষ করে বাঙালি হিন্দুরা অনেক নিয়ম মেনে চলি। বাস্তু শাস্ত্র মেনে চলি। শাস্ত্র অনুযায়ী বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলি যাতে জীবনে কোনো বাধা বিপত্তি না আসে।

সেইরকমই বাঙালি হিন্দু পরিবারে মেয়েদের বিয়ের পর সিঁদুর পরার রীতি রয়েছে। শাস্ত্র মতে স্বামীর কল্যানের জন্য সিঁদুর পরে বিবাহিত নারীরা। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত মহিলাদের এই সিঁদুর পরার রীতি বহুল প্রচলিত। ভারতের যেকোন প্রান্তে বিবাহিত মহিলাদের সিঁদুর পরার গুরুত্ব অপরিসীম।

এমনকি বলিউড স্টাররা নিজেদের সিঁদুর পরার ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই সিঁদুর পরার কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়ম মেনে সিঁদুর পড়লে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বজায় থাকে। এছাড়া শাস্ত্র মতে সিঁদুর পরার উপর নির্ভর করে থাকে বিবাহিত মহিলাদের স্বামীর মঙ্গল, অমঙ্গল।

অনেক মহিলাই জানেন না ঠিক কি করে সিঁদুর পরতে হয়। আর এই কারনে স্বামীর মঙ্গলের বদলে অমঙ্গল বেশি হয় এমনটাই জানাচ্ছে হিন্দু শাস্ত্র। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত মহিলাদের কখনই মাথার এককোনে সিঁদুর পরতে নেই। এতে স্বামীরা স্ত্রীদের থেকে দূরে চলে যায়।

আসলে স্বামীর কল্যান কামনা করেই মহিলারা সিঁদুর পরেন, কিন্তু সিঁদুর পরার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে সিঁদুর পরা উচিত। শাস্ত্র মতে তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে সিঁদুর পড়লে সংসারে সুখ শান্তি বজায় থাকে। স্বামীর কল্যান হয়। বিবাহিত জীবন সুখের হয়।

শাস্ত্র মতে মধ্যমা দিয়ে সিঁদুর পড়লে স্বামীর আয়ু বৃদ্ধি হয়। আর প্রত্যেক মহিলারা চায় তার স্বামী যেন দীর্ঘজীবী হোক। তার জন্য এই নিয়ম মেনে সিঁদুর পড়লে স্বামীর কল্যান হয় আর স্বামীর আয়ু বৃদ্ধি হয়। অনেক বিবাহিত মহিলারা মাথার এক কোনে চিলতে করে সিঁদুর পরে।

শাস্ত্র মতে এইভাবে সিঁদুর পরা একদম উচিত না, তাতে স্বামীর সাথে দুরত্ব বাড়ে। দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। তবে শাস্ত্র মতে বলা হয়েছে এই সব কিছুর সঠিক ফল মেলে যদি মাথার মাঝ বরাবর সিথি করে সেখানে সিঁদুর পরা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.