কিছুই খেতে চায় না বাচ্চারা কেক-পেস্ট্রি-চকোলেট-চিপস ছাড়া! কীভাবে হবে মুশকিল আসান ?



 ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাদকোরকের বিষয়ে বুঝতে বাচ্চাদের বেশ সময় লাগে। আর সেরকম ভাবেই শিশুদের মুখে কোনও খাবারের স্বাদ তৈরি হতেও সময় লাগে। যদিও বেশির ভাগ শিশুরই মুখে অস্বাস্থ্যকর খাবারই বেশি ভালো লাগে। আর অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় থাকে চিপস, চকোলেট, আইসক্রিম এবং জ্যুস। শাকসবজি, তরকারি-সহ স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে শিশুদের সেই ঝোঁকটা থাকে না। আসলে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে বুঝতে বেশ সময় নেয় শিশুরা।


আবার শিশুদের ডায়েটের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল স্ন্যাকস্। এই ধরনের খাবারের প্রতি শিশুদের প্রবল আগ্রহ থাকে। আর সাম্প্রতিককালে এমন ধরনের স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, যেগুলি স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করা হয়। কিন্তু আদতে কি এটা সত্যি? এর উত্তর হচ্ছে একেবারেই না! স্বাস্থ্যকর বলে যেসব স্ন্যাকস খাওয়া হচ্ছে, সেগুলি কোনওটাই স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই উপকারী নয়। এই সব দ্রব্যের লেবেলে আসল তথ্য লুকিয়ে ভুল তথ্য ব্যবহারের জন্যেই সাধারণত ক্রেতারা বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন।


ভুল ধারণা কীভাবে তৈরি হয়?


বেশির ভাগ বুদ্ধিমান ক্রেতা বাজার থেকে কিছু কেনার সময়ে, বিশেষ করে নিজেদের সন্তানের খাবার কেনার সময় প্রোডাক্টের উপকরণের তালিকা দেখে নেন। আর সেই উপকরণে কোথাও ফলের মতো পুষ্টিকর খাবারের উল্লেখ থাকলে মা-বাবারা সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্টের পুষ্টিমূল্যের বিষয়ে আরও বেশি আশ্বস্ত হয়ে থাকেন। আসলে বাজারে কিছু জ্যুস পাওয়া যায়, যেগুলোকে তাজা ফলের জ্যুস হিসেবেই বিক্রি করা হয়ে থাকে। কিন্তু আদতে ওই জ্যুসগুলিতে ফল নয়, বরং ফলের নির্যাস থাকে। আবার জ্যুসের ক্ষেত্রে অ্যাডেড সুগার কিংবা মিষ্টির ভাগ গোপন রাখতে অ্যাগাভে সিরাপ (Agave Ayrup) এবং ইভাপোরেটেড কেন-জ্যুস (Evaporated Cane Juice)-এর মতো উপাদান ব্যবহৃত হয়।


শিশুদের কীভাবে ক্ষতি করে?


সিন্থেসাইজ করা অথবা ন্যাচারাল সুগার খেতে থাকলে শিশুদের মিষ্টি জাতীয় খাবারের ক্রেভিং আরও বাড়তে থাকে। যার ফলস্বরূপ, শিশু পুষ্টিকর খাবার বিশেষ খেতে চায় না। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার নেশায় তাঁরা এতটাই বুঁদ হয়ে যায় যে, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট কিংবা ভালো ফ্যাট তারা খেতে অস্বীকার করে।


এক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে?


আপাতদৃষ্টিতে ‘স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস’ খাবারের ঝোঁক কমাতে হলে শিশুকে স্বাস্থ্যকর নানা রকম খাবার দিতে হবে, যাতে তাদের খাবারে একঘেয়েমি না-আসে। শিশুর খাদ্যতালিকায় বেশি পরিমাণে রাখতে হবে হোল গ্রেন (Whole Grain), রুটি ইত্যাদি। তাছাড়াও বিকল্প স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে রাখা যেতে পারে কম নুনযুক্ত হোল গ্রেন ক্র্যাকার চিপস। পাশাপাশি লো-ফ্যাট দুধের প্রোডাক্ট অথবা ল্যাকটোজ-ফ্রি দুধ বাচ্চাদের ডায়েটে প্ল্যানের ক্ষেত্রে আদর্শ। এমনকী দেওয়া যেতে পারে ফ্লেভারড দইও। তবে তাতে যেন অতিরিক্ত মিষ্টি না-থাকে, সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। টাটকা সবজি এবং ফল শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা বলাই বাহুল্য। এই খাবারগুলো সুস্বাদু তো বটেই, তার পাশাপাশি এই সব খাবার স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিগুণেও ভরপুর।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.