শিক্ষক দিবসে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের এই বাণীগুলি হোক জীবন গড়ার মূল মন্ত্র


ODD বাংলা ডেস্ক: জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে চলে শিক্ষাগ্রহণ। শিক্ষা বলতে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, জীবনের প্রতি মুহূর্তি প্রতিটি মানুষ কিছু না কিছু শিখে চলেছেন।  তবে, জীবনে সফল হতে কিংবা এগিয়ে যেতে প্রয়োজন বিদ্যার। আর এই বিদ্যা অর্জন সম্ভব শিক্ষকদের সাহায্যে। তারাই আমাদের শিক্ষা প্রদান করে। প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর সকলে বিশেষ সম্মান জ্ঞাপন করেন শিক্ষকদের। এই দিন পালিত হয় শিক্ষক দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর দিনটি পালিত হয় শিক্ষক দিবস হিসেবে। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনটি পালিত হয়। তিনি সারা জীবন সকলের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার করেছেন। শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে জেনে নিন ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মূল্যবান কয়টি বাণী।   

বইয়ের তাৎপর্য হল আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে সেতু নির্মাণ করা। - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তাঁর বাবা স্থানীয় জমিদারের বাড়িতে স্বল্প বেতনের চাকরি করতেন।  



জীবনের আনন্দ এবং সুখ শুধুমাত্র জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে সম্ভব। - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। জানা যায়, ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের বাবা কখনও চাননি তিনি ইংরেজি শিখুক। বরং চেয়েছিলেন তিনি পূজারি হোক। তবে, পড়াশোনায় মেধাবী হওয়ায় জীবনে বহু স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। স্কলারশিপের কারণে তাঁর পড়াশোনা করার পথে বাধা কম আসে।  


মনের শক্তি আর বুদ্ধিমত্তা না এলে, বাহিরের ব্যবস্থা কোনও সহায়তা করে না। - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। জানা যায়, এক সময় তাঁর কাছে বই কেনার টাকা ছিল না। তিনি দাদার কাছ থেকে বই নিয়ে পড়াশোনা করতেন। তিনি মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর বিষয় ছিল দর্শন।


জ্ঞান ও বিদ্যার ফল হল অনুভব। - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। জানা যায়, সারা জীবন তিনি জীবনের সব পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। ১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বেদান্ত দর্শনের ওপর গবেষণা করেন। এই গবেষণা পত্রের জন্য তিনি প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন সে সময়।  


আমাদের দেশের বেকারত্বের একটি অন্যতম কারণ হল কৃষিকাজে ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানকে প্রয়োজন না করা। - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। ১৯০৯ সালে তিনি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তারপর তিনি মহীশূল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি ছাত্র ছাত্রীদের কাছে অন্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।   



ধন সম্পদ ব্যক্তিকে পরিপূর্ণতা দেয় না। আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে ব্যক্তি পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে। - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপনা করেন। 


কোনও মানুষ স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে পারে না যদি না তার মধ্যে যুক্তিবাদ ও আধ্যাত্মিক বোধ জাগ্রত না হয়।  - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। আসলে জীবনে সফল হতে কিংবা এগিয়ে যেতে প্রয়োজন বিদ্যার। আর এই বিদ্যা অর্জন সম্ভব শিক্ষকদের সাহায্যে। তারাই আমাদের শিক্ষা প্রদান করে। বিদ্যা ছাড়া কোনও ক্ষেত্রে যেমন সফল হওয়া সম্ভব নয় তেমনই জীবনে চলাও সমস্যা হয়ে যেতে পারে। 



আমরা যে মানব জীবন পেয়েছি, তা হল আদর্শ মানব জীবন গড়ে তোলার উপকরণ।  - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। আসলে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করেন শিক্ষকের। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর ক্ষমতার মূল্যায়ন করে তার ভবিষ্যত গড়ে তুলতে তাকে সঠিক শিক্ষা প্রদান করেন শিক্ষকেরা। সে কারণে মা-বাবার সমতুল্য মনে করা হয় শিক্ষককে। 


একজন শিক্ষকের কর্তব্য হবে শিক্ষার্থীদের একটি গণতান্ত্রিক দেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।  - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। একজন ছাত্র ছাত্রীকে সঠিক পথে চালনা করেন শিক্ষকেরা। ভুল পথে পা বাড়ালে যে কারও ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সেই ভুল পথ থেকে ছাত্র-ছাত্রীকে রক্ষা করে শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব। তারা সব সময় এই মহৎ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। 

সত্যিকারের শিক্ষক তারাই যারা আমাদের ভাবতে সাহায্য করেন।  - সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন।   ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ সেপ্টেবর পালিত হয় শিক্ষক দিবস। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনটি পালিত হয়। এই দিনটি প্রত্যেকেই তাঁর নিজের শিক্ষককে সম্মান প্রদান করে থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.