বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মশা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: মশা হলেও এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। ছবিতে যে প্রতঙ্গটি দেখতে পাচ্ছেন, সেটিই স্যাবেথেস সায়ানিয়াস প্রজাতির মশা। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গলে এই মশার বসবাস। যা বিরল প্রজাতির।

ছবিটি কানাডার অন্টারিও থেকে গিল উইজেন তুলেছেন। ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার প্রতিযোগিতায় তার কাজ অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল। গিলএকজন কীটতত্ত্ববিদ।


এই মশার গায়ে দেখা যায় নীল, বেগুনি ও কালোর মিশেল। দুই পাশে আছে রহস্যময় পালকের মতো প্যাডেল। এ কারণেই মশার এ প্রজাতি সুন্দর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি মশার একটি ক্রান্তীয় প্রজাতি, যা দেখতে চোখ ধাঁধানো বটে। 


এই মশাকে রাজকীয় মশা  হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এর সৌন্দর্য দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। চাইলেই এদের দেখা পাওয়া যায় না। এই প্রজাতির মশা ছদ্মবেশী হয়ে থাকে। ফরে এদের ছবি তোলাও কঠিন।


বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার গিল উইজেন জানিয়েছেন, ‘মশার ছবি তোলা সবচেয়ে কষ্টকর। কারণ তারা ঘনঘন জায়গা পরিবর্তন করে। এজন্য মশার ছবি তুলতে গেলে ফটোগ্রাফারকেও স্থির হয়ে থাকতে হয়। আবার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলেও বিপদ। মশা দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করে।’


স্যাবেথেস সায়ানিয়াস মশার বিশেষত্ব হচ্ছে, তার শরীরের দুইপাশের পাখনায় পালক আছে। তবে এ পালকের কাজ কী, তা বিজ্ঞানীরা এখনো জানতে পারেননি।


পৃথিবীতে মশার ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি প্রজাতির আছে। এদের মধ্যে শুধু স্ত্রী মশারাই রক্ত খেয়ে থাকে। যখন তারা ডিম উৎপাদন করতে চায় তখনই রক্ত খায়। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই মশা সবার কাছেই ভয়ের কারণ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.